ঢাকা: জীবনে সংগ্রাম করে প্রতিবন্ধকতা জয় করতে হয়। আমাদের সমাজে যেসব নারী এখনও শিক্ষার আলো পায়নি, তাদের জন্য জীবন আরও বেশি কষ্টকর ও সংগ্রামমুখর।
শোভা তার জীবনের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বর্তমানে সফল একজন নারী। কিভাবে তিনি স্বাবলম্বী হলেন এবং সব প্রতিকূলতা দূর করে প্রতিষ্ঠা পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শোভা বলেন, খুব অল্প বয়সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। দারিদ্র্য এবং সচেতনতার অভাবে পরিবারের সদস্যরা বিয়েটা দেয়। আমার জীবনের সেই সময়টা খুব হতাশা ও কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে মন থেকে সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে বললাম, আমাকে কিছু একটা করতে হবে। সেই থেকে জীবনের চরম সত্যটাকে মেনে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির জমিতে সবজি চাষ শুরু করলাম। এর মধ্যে আমার কোলজুড়ে এলো তিন সন্তান। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবজি চাষের পাশাপাশি শুরু করলাম গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন।
তিনি আরও বলেন, আমার এতো পরিশ্রমের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। পরিবার অসচেতনতার কারণে আমার ক্ষেত্রে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, সেভাবে আমি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বর্তমানে আমি একজন সফল মা ও গৃহিণী।
শোভা রাণী এখন একজন সফল খামারী। হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করে তিনি নিজে যেমন হয়েছেন স্বাবলম্বী, তেমনি তার খামারে কাজ করে গ্রামের আরও কয়েক নারী হয়েছেন স্বচ্ছল।
বাংলাদেশ সময়:০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
আরএম