ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ছোটদের সাধারণ সহবত

আতিফ আতাউর, ফিচার রাইটার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
ছোটদের সাধারণ সহবত

শিশু বয়স থেকেই আমাদের পরিবারের ছোটদের মধ্যে সহবত শিক্ষা দেওয়াটা জরুরি। নইলে বড় হয়ে সে একরোখা হয়ে চলতে শিখবে।

নিজে যা ভালো মনে করে সেটাই করতে চাইবে। এতে করে আপনিও পড়তে পারেন অস্বস্তিকর কোনো পরিস্থিতির সামনে। কিন্তু ছোট থেকেই যদি আমরা বাচ্চাদের মধ্যে সাধারণ রীতি-রেওয়াজগুলোর চর্চা করতে শেখাই তাহলে তাদের নিয়ে আর কোনো ভয় থাকে না। সন্তানদের সাধারণ সহবত বা রীতিনীতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহজাবিন হক

ছেলেবেলা থেকেই শিখাই
* সন্তানকে গুরুজনদের সালাম দিতে শেখান।
* সাহায্য পেলে ধন্যবাদ জানাতে শেখান।
* মুখে না শিখিয়ে কাজে শেখান। ছোটরা কোনো জিনিস এগিয়ে দিলে বা কথামত কাজ করে রাখলে থ্যাঙ্ক ইউ বলুন। আবার ওর থ্যাঙ্ক ইউ’র উত্তরে ওয়েলকাম বলতে ভুলবেন না।
* কথার মাঝখানে কথা না বলতে শেখান।
* বড়দের সঙ্গে তর্ক না করতে শেখানোটাও কিন্তু জরুরি।

সন্তান যখন অন্য বাড়ি
* কারো বাড়িতে গেলে জুতা খুলে ঘরে ঢুকতে হয়। এটাও ওকে শিখিয়ে দিন।
* অতিথি বাড়ি থেকে চলে আসার সময় বিদায় বলতে শেখান।

বাড়িতে অতিথি এলে
* লাজুক বাচ্চারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরের দরজা খুলে দিয়ে চলে আসে। এটা ঠিক নয়। বরং ঘরে পাখা চালিয়ে অতিথিকে বসতে বলতে শেখান।
* আপনার সঙ্গে জল খাবার এগিয়ে দিতে শেখান। এতে একদিকে যেমন অতিথি অ্যাপায়ন শিখবে অন্যদিকে বাড়ির ছোট ছোট কাজেও হাত খুলবে।
* অতিথি বিদায় নেবার সময় আবার আসতে বলতে শেখান।

খাওয়ার টেবিলে
* অন্তত একবেলা খাবার টেবিলে এক সঙ্গে খেতে শেখান।
* সবাই খেতে শুরু করলে খেতে শেখান।
* শব্দ করে খেতে বারণ করুন
* অল্প করে খাবার নিতে বলুন।
* খাওয়া শেষে আগে উঠে যেতে হলে সবাইকে বলে উঠতে হয় এটা শিখিয়ে দিন।

কাজের লোকের সঙ্গে
* কাজের লোককে নাম ধরে ডাকা ঠিক নয়। সম্ভাষণে আপনি বা তুমি বলতে শেখান।
* বাড়িতে কাজের লোক থাকলেই হুটহাট তাকে ফরমায়েশ করা ঠিক নয়। এটা ওকে বুঝিয়ে বলুন।
* বাইরে বেরিয়ে কিছু কিনে খেলে বা বাড়িতে কোনো খাবার এলে কাজের লোককে দিতে শেখান।
* কাজের লোকের বিশ্রামের সময় খুব জরুরি না হলে তাকে না ডাকতে শেখান।

চরিত্র গঠনে
* ভুল স্বীকার করতে শেখান। এটা শেখানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আপনার নিজের ভুল স্বীকার করতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করবেন না। বাচ্চাকে সরি বলতে পিছপা হবেন না।
* পড়াশোনা, খেলা বা খাওয়ার পরে নিজের ডেস্ক, টেবিল, বিছানা গুছিয়ে রাখতে শেখান।
* সহমর্মিতা শেখান। ছোট থেকে পরের জন্য ভাবতে শিখলে চারিত্রিক সম্পূর্ণতা গড়ে ওঠে।
* মাটিতে পা ঘষে হাঁটতে বারণ করুন। পিঠ সোজা করে হাঁটকে শেখান। পড়ার সময় পা দোলানো বা নাচানোর অভ্যস যেন না হয়। বয়স্ক মানুষকে সাহায্য করতে শেখান। বসার সময় পা জুড়ে বসার অভ্যস করান। পা ফাঁক করে বসা সাধারণ সমাজে অভদ্রতা হিসেবে চিহ্নিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।