ঝিনাইদহ: প্রায় দুই বছর আগে লাউ চাষ শুরু করেন ঝিনাইদহের কালিচরণপুর ইউনিয়নের বড় মান্দারবাড়িয়া গ্রামের চাষি সহিদুল ইসলাম। এরই মধ্যে তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
নিজের জমির পাশে লাউ চাষের মাধ্যমে শুরুটা হলেও বর্তমানে তিনি সাত সতক জমিতে লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করছেন।
সহিদুল ইসলাম এই প্রতিবদককে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক কষ্টে পতিত হই। সংসার চালাতে তখন হিমশিম খাচ্ছিলাম। সামান্য কিছু পুঁজি নিয়ে বাড়ির পাশে মুদি দোকান দিলেও, সেখান থেকে আয় হতো সামান্যই। এরপর বাড়ির কাছে ধান চাষের জমির পাশে লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরু করি। এতে বেশ লাভ হলে, পরের বছর চাষের জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকি। বর্তমানে এই সবজি চাষের মাধ্যমে আমার পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। স্বাবলম্বী হয়েছি। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও চালাতে পারছি।
সবজি চাষে বছরে কী পরিমান আয় হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার কতো টাকার লাউ বিক্রি করেছি, তা সঠিকভাবে বলতে পারবো না। মাসে আনুমানিক ৬ হাজার টাকার লাউ ও ৫ হাজার টাকার অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছি। এ মাসে আরও ১৫ হাজার টাকার লাউ ও সবজি বিক্রি করতে পারবো।
জমিতে কী সার প্রয়োগ করেন জানতে চাইলে এই চাষি বলেন, আমি কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ করি না, কিটনাশক ছিটাই না। শুধু কেঁচো, কমপোস্ট সার ও অন্যান্য জৈব সার প্রয়োগ করি। যার কারণে গ্রামের মানুষ আমার সবজি কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
আরএম