ঢাকা: ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যথাযথ ব্যবহারের ফলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে ও বেড়ে উঠতে দেয় না।
ব্যাকটেরিয়ার ধরন অনুযায়ী ডাক্তাররা ভিন্ন ভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও থাকে। অামাদের চারপাশেই রয়েছে কিছু ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। যা সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও নিরাপদ।
রসুন
রসুন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। একইসঙ্গে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাল এজেন্ট। এর মধ্যকার সালফার উপাদান অ্যালিসিন হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। প্রতিদিন খালিপেটে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খান। এছাড়া রান্নায়ও রসুন ব্যবহার করুন।
মধু
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক প্রপার্টি। মধু ইনফেকশন প্রতিরোধে অনেক জোরালোভাবে কাজ করে ফলে ব্যাকটেরিয়া সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। এর হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড, এসিডিটি, হাই সুগার কনসেন্ট্রেশন ও পলিফেনলের সংমিশ্রণ ব্যাকটেরিয়াল সেল ধ্বংস করে। প্রতিদিন ১:১ অনুপাতে মধু ও দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খান।
কাঁচা হলুদ
আয়ুর্বেদিক ও চাইনিজ চিকিৎসাক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাঁচা হলুদের ব্যবহার রয়েছে। ৫/৬ টেবিল চামচ মধুতে এক টেবিলচামচ কাঁচা হলুদবাটা ভালোভাবে মিশিয়ে এয়ারটাইট বোতলে রেখে দিন। প্রতিদিন ১/২ চা চামচ করে খান।
ভিটামিন সি
লেবু, কমলা, জাম্বুরা, আনারসসহ আরও অনেক ফলে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাই ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সমাধানে কমলার জুস খুব সুফল দেয়। ভিটামিন সি ত্বক সুরক্ষায় ও গর্ভকালীন শরীরের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে খাদ্যতালিকায় কমলা বা সাইট্রাস ফ্রুটস রাখতে পারেন।
আদা
ফ্লু ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সমাধানে আদার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। পেটে সমস্যা, পেশির ব্যথা ও জয়েন্টে ব্যাথা কমাতে এবং বমিভাব দূর করতে সহায়ক এক উপাদান। তবে গর্ভকালীন সময় বেশি পরিমাণে আদা খাওয়া উচিত নয়। কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এসএমএন/এসএস