ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ডিহাইড্রেশন এড়াতে...

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
ডিহাইড্রেশন এড়াতে...

ঢাকা: সাধারণত বডি ফ্লুইড কমে গেলে ডিহাইড্রেশন হয়। আমরা যে পরিমাণ পানি খাই তারচেয়ে বেশি পরিমাণ পানি যখন শরীর থেকে বের হয়ে যায় তখন ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

শরীর থেকে পানি বিভিন্ন উপায়ে বের হয়- শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলার সময় বাষ্পীভূত হয়ে, ঘাম, ইউরিন ইত্যাদির মাধ্যমে। এসবের মাধ্যমে শরীর থেকে শুধু পানিই না, প্রয়োজনীয় লবণও অপসারণ হয়। তখন শরীর স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ডিহাইড্রেশন হয়।

কেন হয়-
ডিহাইড্রেশন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। জ্বর, রৌদ্রতাপে চলাফেরা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, বমি, ডায়রিয়া ও ইনফেকশনের কারণে অতিরিক্ত ইউরিনেশন ইত্যাদি। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরও ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা প্রয়োজন অনুপাতে কম পানি খান বা প্রচুর ঘামেন কিন্তু সে পরিমাণে ফ্লুইড শরীরে প্রবেশ করে না তাদের ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ফলে খরা ও শুষ্ক আবহাওয়াতে ডিহাইড্রেশন এড়াতে প্রচুর পানি পান করা উচিত।


লক্ষণ-
প্রচুর তৃষ্ণাবোধ, মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে আসা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরোনো, পালপিটিশন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি ড্রিহাইড্রেশনের লক্ষণ। ডিহাইড্রেশন চরম পর্যায়ে চলে গেলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। ঘাম না হওয়া, ইউরিন কমে যাওয়া ইত্যাদিও ডিহাইড্রেশনের অন্য লক্ষণ।

ড্রিহাইড্রেশন এড়াতে-
ডিহাইড্রেশন এড়াতে দিনে প্রচুর পানি পান করুন। বিশেষ করে গরমের দিনে খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার সময় প্রতি ১৫/২০ মিনিট অন্তর অন্তর পানি ও জুস পান করা উচিত। এসময় হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি প্রোটিন বেসড ডায়েটে অভ্যস্ত হন তবে দিনে অবশ্যই আট থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে। পাশাপাশি বর্জন করতে হবে বিয়ার ও ওয়াইনের মতো অ্যালকোহল। কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন বাড়িয়ে তোলে। খাবারে পানিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি যেমন- আঙুর, তরমুজ, আনারস, লেবু, শসা, টমেটো, লাউ, বাঁধাকপি, সেলারি ইত্যাদি রাখুন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।