ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিরল ভালবাসার আকাশছোঁয়া ভাস্কর্য

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিরল ভালবাসার আকাশছোঁয়া ভাস্কর্য ছবি: অনিক খান - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ : প্রায় ৫৩ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিরল ভালবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া এ ভাস্কর্য।



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সুদৃশ্য এ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায়।

সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এ ভাস্কর্যটির উদ্যোক্তা সরকার দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকির। সুউচ্চ এ ভাস্কর্য বাড়িয়েছে রাজা-জমিদারদের তীর্থভূমি গৌরীপুরের গৌরব।

জমিদারি জামানার ঐতিহ্যের ধারার সঙ্গে যুক্ত করেছে নতুন ঐতিহ্য। বহুদূর থেকে দৃশ্যমান এ ভাস্কর্যের আবেদনও বহুমাত্রিক।

রাজনীতি সচেতন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ। সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকির বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ অনুসারী।

ভোট রাজনীতিতে জেলায় আ’লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ সংসদীয় আসনের বাসিন্দারা এখান থেকে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন।

আর এ জনপদেই নির্মিত হয়েছে মহান স্বাধীনতার স্থপতিকে নিয়ে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য।

৫৩ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্যটির স্থপতি শিল্পী এম.এ.মাসুদ। মুজিবকোট পরিহিত জাতির জনকের এ ভাস্কর্যটি কালো পাথর, অ্যাকাগিমিন, সাদা সিমেন্ট আর মোজাইক পাথর দিয়ে নির্মিত।

৬ তলা ভবনের সমান উচ্চতার এ ভাস্কর্যের গোড়ার প্রস্থই ১৫ ফুট। এ ভাস্কর্যটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ৭ মাস।

বৃহৎ এ ভাস্কর্যটির থিম স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকিরের। তার স্বপ্নে কলতাপাড়ায় নির্মিত এ ভাস্কর্যটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান ও ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়দের মতে, এ ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের আদর্শের শ্বাশত হাতছানি, জীবন সংগ্রাম, সংগ্রামী জীবন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকবর্তিকা।

জাতীয় ইতিহাসের শৌর্য বীর্যের বহি:প্রকাশ ভাস্কর্যটি এক অর্থে গৌরীপুরবাসীর বঙ্গবন্ধু প্রেমের অনুপম প্রদর্শনী।

দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক এ ভাস্কর্য সম্পর্কে গৌরীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতির জনককে নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন।

এ ভাস্কর্যের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আবেগ আর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। নতুন প্রজন্মও আবেগ উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছে, মত আব্দুর রহিমের।  
Bongobondu_Gouripur
প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও হাজারো যাত্রী বঙ্গবন্ধুর এ ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিস্ময়মুগ্ধ হয়ে তাকান।

শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও জাগরণের মধ্যে দিয়ে মানুষজন এ ভাস্কর্যের দিকে তাকিয়ে দেখে বাংলাদেশকেই। যে দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকির বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়েছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আলোকে স্মৃতি হিসেবে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির পেছনে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। আর ভাস্কর্যের ডান পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪২ রকমের ছবি রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।