ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কাক শিম্পাঞ্জির মতোই বুদ্ধিমান!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
কাক শিম্পাঞ্জির মতোই বুদ্ধিমান!

ঢাকা: ধারণা করা হয় যার মস্তিষ্কের আকার যত বড় তার বুদ্ধি তত বেশি। কিন্তু আসলেই কি তাই? সাম্প্রতিক গবেষণার একটি সিরিজে দেখা গেছে, ছোট মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে কাক প্রায় শিম্পাঞ্জির সমকক্ষ।

এ পরীক্ষায় আরও দেখা যায়, কাকেরা বনোবো ও গরিলাদের চেয়েও বেশি স্কোর করেছে।

 

ক্যান কাবাডাইয়ের পরিচালনায় গবেষণাটি সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়। ক্যান কাবাডাইয়ের গবেষক দল পাখিদের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার জন্য ‘সিলিন্ডার টাস্ক’ নামে একটি টেস্ট করেছেন। এতে প্রাণীদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের স্তর পরীক্ষা করা হয়। আত্ম-নিয়ন্ত্রণ বুদ্ধিমত্তা স্তরের মূল সূচক।


বিভিন্ন ধরনের কাক যেমন- পাঁচটি প্রাপ্তবয়স্ক রেভেন, ১০টি নিউ ক্যালেডোনিয়ান ক্রো ও ১০টি প্রাপ্তবয়স্ক জ্যাকডোর ওপর এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অস্বচ্ছ সিলিন্ডারে খাবার রাখা হয়। প্রতিটি সিলিন্ডারের নিচে একটি করে ছিদ্র ছিলো যাতে কাকেরা সহজেই খাবারগুলো দেখতে পায়। তাদের দেখিয়েও দেওয়া হয় কী করে সিলিন্ডারের ভেতরে ঢুকে খাবার সংগ্রহ করতে হবে।

এরপর বিশেষজ্ঞরা সিলিন্ডারগুলো সরিয়ে কিছু আইডেন্টিক্যাল টিউবে খাবার রাখেন। এই টিউবগুলোর নিচেও একটি করে ছিদ্র ছিলো। বিশেষজ্ঞরা দেখতে চাচ্ছিলেন, তারা দেভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন কাকেরা ঠিক সেভাবেই ছিদ্র ব্যবহার করে খাবারে সংগ্রহ করবে নাকি টিউবের বাইরে থেকেই ঠোকর দিয়ে খাবার লুফে নিতে চেষ্টা করবে। যদি তারা বাইরে থেকে ঠোকর দেয় তাহলে তারা অকৃতকার্য হবে আর যদি ছিদ্র ব্যবহার করে তবে প্রমাণ হবে তারা আত্মনিয়ন্ত্রক ও বুদ্ধিমান।

কাকের ওপর করা পরীক্ষার ফলাফল শিম্পাঞ্জিদের ওপর করা একই পরীক্ষার ফলের সঙ্গে মেলানো হয় ও তাদের মস্তিষ্কের আকারও তালিকাভুক্ত করা হয়।

কাক প্রজাতি ও শিম্পাঞ্জির ওপর নেওয়া পরীক্ষার ফল‍াফল মিলিয়ে দেখা যায়, রেভেন শিম্পাঞ্জির মতোই বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় শতভাগ সফল হয়েছে। যেখানে জ্যাকডো ও নিউ ক্যালেডোনিয়ান স্কোর করেছে ৯৭ ও ৯২ শতাংশ। অন্যদিকে শিম্পাঞ্জি, বনোবো ও গরিলা নম্বর তুলেছে ৯৫ ও ৯৪ শতাংশ হারে।

শিম্পাঞ্জির মস্তিষ্ক রেভেনের মস্তিষ্কের চেয়ে ২৬ গুণ বেশি বড়। আবার জ্যাকডোর মস্তিষ্ক বনোবো ও গরিলার মস্তিষ্কের চেয়ে ৭০ থেকে ৯৪ গুণ ছোট হলেও জ্যাকডো এদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।


গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে। পরিশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মস্তিষ্কের আকার প্রাণীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্ম-পরিচালনা ও বুদ্ধিমত্তার নির্ধারক নয়। বরং কিছ‍ু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও কাক প্রজাতি প্রাইমেটদের চেয়ে সফল ভুমিকা পালন করেছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।