ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

শিশুটির মাথার ওজন ৯ কেজি!

​ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
শিশুটির মাথার ওজন ৯ কেজি!

ঢাকা: শিশুটির জন্মের সময় তার মাথার আকার ছিলো সাধারণের তুলনায় একটু বড়। গত দু’বছর ধরে তার মাথার আকার কেবল বড়ই হচ্ছে।

সিজারে জন্ম নেওয়া ইমন ভুগছে একটি বিরল শারীরিক অবস্থায়। মাত্র দু’বছর বয়সী শিশুটি বহন করছে নয় কেজি ওজনের বিরাট মাথা।

 


মাথার ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় সে কথা বলতে, হাঁটতে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করতে পারে না। তার বাবা-মা থাকেন দক্ষিণবঙ্গে। শুরুতে ইমনের চিকিৎসার জন্য গ্রামের বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়েছেন তারা। কিন্তু কেউই আসল সমস্যা শনাক্ত করতে পারেননি। বিভিন্ন আধ্যাত্মিক চিকিৎসার পেছনেও খরচ করেছেন ইমনের পরিবার। কিন্তু ওসব কোনোকিছুতেই কোনো কাজ হয়নি। বরং মাথা দিনে দিনে বড় হচ্ছে।

 


অবশেষে একটি মেডিকেল পরীক্ষায় তার হাইড্রোসেফালাস ধরা পড়ে। যা কিনা খুলির ভেতরে তরল জমে হয়। এক পর্যায়ে তা মস্কিষ্কের ক্ষতি করে। মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড দ্বারা বেষ্টিত। যখন মস্তিষ্ক থেকে প‍ুরনো ফ্লুইডগুলো মুক্তি পায় এবং রক্তনালিগুলো তা শুষে নেয়, তখন এক ইউনিট পরিমাণে এ ফ্লুইড উৎপন্ন হয়। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়া বা চক্র বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন এই ফ্লুইড উৎপাদনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়।


শিশুর জন্মের সময় ত্রুটি থাকলে তাদের মধ্যে কনজেনিটাল হাইড্রোসেফালাস দেখা দেয়। বফিডার মতো জন্মত্রুটিতে মেরুদণ্ড পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠে না।

গর্ভকালে মায়ের ইনফেকশন যেমন মাম্পস বা রুবেল‍া থাকলে শিশুর এটা হতে পারে। আবার যথাযথ চিকিৎসা না হলে এটি দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক-মানসিক অক্ষমতায় রূপান্তর হতে পারে। হতে পারে স্থায়ী ব্রেইন ড্যামেজ।

ডাক্তাররা ইমনের বাবা-মাকে বলেছেন, যদি তারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান তাহলে ভালো হবে। কিন্তু তার বাবা-মার আর্থিক অবস্থা এত ভালো নেই যে দেশের বাইরে সন্তানের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারবেন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।