ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ফেসবুকের অজানা-বিস্ময়কর ১৯ তথ্য! (পর্ব-১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
ফেসবুকের অজানা-বিস্ময়কর ১৯ তথ্য! (পর্ব-১)

ঢাকা: পছন্দ-অপছন্দ যাই করুন, ফেসবুক ছেড়ে যাবেন কোথায়? ইন্টারনেটের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব বিস্তৃত। এমনকি চীন, যেখানে ফেসবুক নিষিদ্ধ সেখানেও বসবাসরত ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক তাদের খবরাখবর গোপনে ফেসবুক থেকেই পান।



বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের রয়েছে চাঞ্চল্যকর মজার কিছু গল্প। ফেসবুকের অবাক করা ১৯টি চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন!

ফেসবুকের প্রথম মুখ আল প্যাচিনো
সাইটের একটি প্রাথমিক পুনরাবৃত্তি ছিলো বাইনারি কোডের আড়ালে লুকানো লিপিচিত্রে একটি মানুষের মুখ দেখানো। প্রথম প্রথম মানুষটির পরিচয় পরিষ্কার ছিলো না। কিন্তু পরে দেখা যায়, তিনি আর কেউই নন, বিখ্যাত অভিনেতা আল প্যাচিনো!

ফেসবুকের প্রথম বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল
'পেপ্যাল'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েল ফেসবুকের প্রাথমিক উৎসাহদাতা ও উদ্যোক্তা। তিনিই প্রথম পুঁজিবাদী বিশ্বে এ সাইটের অপার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে প্রাথমিকভাবে নতুন এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন পাঁচ লাখ ইউ এস ডলার। পরবর্তীতে নিজস্ব বিনিয়োগ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন থিয়েল। যার মূল্য হয়েছিলো এক বিলিয়ন ডলারের উপরে।

পুনরায় ফেসবুকের নামকরণ করেন শন পার্কার
বিলুপ্ত গানের শেয়ারিং সাইট ‘ন্যাপ্সটার’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফেসবুকের ডোমেইন নেম দুই লাখ মার্কিন ডলারে কিনে নেন। পুনরায় সাইটের নামকরণের ক্ষেত্রে পার্কার ছিলেন মূল চালিকাশক্তি। মূলত তার প্রভাবেই সাইটের জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়ে যায়।

পিয়ার টু পিয়ার শেয়ারিং ব্যবস্থা ছিলো ফেসবুকের মূল কাজ
পরিচিতদের সঙ্গে ওয়ারহাগ পিয়ার টু পিয়ার (P2P) শেয়ারিং ব্যবস্থা ছিলো ফেসবুকের একটি ম‍ূল কাজ। যখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখে পৌঁছায় তখন মার্ক জুকারবার্গ এ পি টু পি ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি চালু করেন। মনে করা হতো, এটি হয়তো কেন্দ্রীয় উপাদানে পরিণত হবে। কিন্তু বিধিবাম! ২০০৬ সালে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কায় ওয়ারহাগ বাতিল হয়ে যায়।

জুকারবার্গ বর্ণান্ধ!
লাল-সবুজ বর্ণান্ধতায় ভুগছেন মার্ক জুকারবার্গ। আর এজন্যই ফেসবুকের মূল রঙ নীল। নীল হচ্ছে, বিশ্বাস ও সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একটি রঙ। আর এ বিশ্বাস ও সুরক্ষা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য একদম অপরিহার্য।

অসাম বাটনের পরিবর্তে লাইক বাটন
শুরুর দিকে ফেসবুকের প্রকৌশলী অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থ ও অন্যান্য প্রকৌশলীরা ‘লাইক’ বাটনের পরিবর্তে ‘অসাম’ বাটনের প্রতি উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু জুকারবার্গ ভেটো দিলে ২০০৭ সালে ‘অসাম’ (Awesome) বাটনের পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর সাইটটিতে ‘লাইক’ বাটন স্থায়ী হয়।

ব্যবহারকারীদের ৩০০ পেটাবাইট তথ্য জমা রাখে ফেসবুক
ফেসবুক নিজস্ব সার্ভারে ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩০০ পেটাবাইট পর্যন্ত তথ্য জমা রাখে। এক পেটাবাইট হচ্ছে এক মিলিয়ন গিগাবাইটের সমান। সৃষ্টির আদিকাল থেকে ল্যাটিন ও অন্যান্য ঐতিহাসিক ভাষাসহ প্রতিটি প্রচলিত ভাষায় মানব জাতির সমগ্র লিখিত সাহিত্য সব মিলিয়ে প্রায় মাত্র ৫০ পেটাবাইট ধারন করবে। সেখানে ৩০০ পেটাবাইট বেশ অবাক করার মতোই ব্যাপার বটে!

অর্থনীতিতে ফেসবুকের প্রভাব
২০১৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ফেসবুকের প্রভাব ছিলো প্রায় ২২৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। এ পরিসংখ্যানের পর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফেসবুকের কাছে।

ফেসবুকে প্রতি ১৫ মিনিটে বাড়ে ৭,২৪৬ জন ব্যবহারকারী
ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতি ১৫ মিনিটে সাত হাজার ২শ ৪৬ জন করে বাড়ছে। সমালোচকরা ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, ফেসবুকের মৃত্যু আসন্ন। কিন্তু এসব গুজব একপাশে সরিয়ে জনপ্রিয়তার প্রায় প্রলয়সীমা অতিক্রম করে চলেছে সামাজিক যোগাযোগের বিশাল এ মাধ্যমটি।

ফেসবুকের মাধ্যমে বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের আয়
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের আয় বেড়েছে ২২ শতাংশ। এর অর্থ, প্রতি বছর মোবাইল ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশই অর্জন করছে ফেসবুক নিজেই।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।