ঢাকা: ক’দিন আগে টানা বৃষ্টির কারণে হিমালয় ও এর পাদদেশীয় এলাকা ধরে উজানের বৃষ্টির পানি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে মহানন্দা, তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ সীমান্ত নদীগুলোর প্রবাহ পথ। পলি জমা নদী উপচে সেই পানি ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের জনপদ-লোকালয়ে।
এ পরিস্থিতিতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম গত ক’দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ধারাবাহিকভাবে বন্যাদুর্গত এ এলাকাগুলো থেকে তুলে ধরেছে সার্বিক চিত্র। বাংলানিউজ টিমে ছিল কান্ট্রি এডিটর শিমুল সুলতানা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলা ও এ প্রতিবেদনের করেসপন্ডেন্ট।
টিমের টানা পাঁচ দিনের কাজের জায়গা ছিল কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার প্লাবিত অঞ্চলগুলো। ৩০ জুলাই থেকে টিমের শুরু হওয়া যাত্রা শেষ হয় ৪ আগস্ট সকালে।
পাঁচদিনের কাজ শেষে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর এসে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকাগামী ফ্লাইট ধরি ঠিক ১০টা ৫০ মিনিটে। শুরুতেই মাথার ওপরে স্পিকারে পাইলটের কণ্ঠ ভেসে এলো। জানলাম, সৈয়দপুর তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আকাশ পরিষ্কার পাবো ভেবে মনে মনে খুশিই লাগছিলো। কিছু ছবি তোলা যাবে বলে। আসতে পারে আকাশ থেকে বন্যার টপ ভিউও। সৈয়দপুর থেকে শুরুতে মেঘ পেলেও যমুনার আকাশ পার হতেই পরের পথটাও পরিষ্কার হতে শুরু করলো। পাওয়া গেল কিছু ছবি। দেখা গেল বাংলার না দেখা রূপ।
মাত্র ৫০ মিনিটের আরামদায়ক ভ্রমণের পর ১১টা ৪০ মিনিটে যথাসময়েই পাইলট স্পিকারে ঘোষণা দিলেন, ‘আমরা এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
এইচএ/
**ছবিতে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার বন্যার চিত্র (পর্ব-০১)
**ছবিতে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার বন্যার চিত্র (পর্ব-০২)