শ্রাবণের আকাশ। তুলোর মতো মেঘেরা ছোটাছুটি করছে।
জোয়ারে উপচেপড়া পানিতে প্রতিদিন অর্ধ-লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগ সহ্য করে পারাপার হচ্ছে। পারাপারের সুবিধার্থে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা খেয়াঘাটে রয়েছে গ্যাংওয়েসহ দু’টি পন্টুন। জোয়ারের পানিতে গ্যাংওয়ের দু’টির ওপর হাঁটু পানি জমে যায়। এ সময় কতিপয় ভ্যান চালক যাত্রীপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আদায় করে পন্টুনে আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। পরে আবার নদী পার হতে গুনতে হচ্ছে অর্থ। আর ঘাটের টোল তো রয়েছেই।
দুই বেলা পানিতে ডুবছে জনবহুল এ রূপসা ঘাট। জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে নদী, রূপসা ঘাট ও সড়ক একাকার হয়ে যাচ্ছে। পানির উচ্চতা এতোই বেড়েছে যে, জোয়ারের সময় দেখে বোঝার উপায় থাকে না কোথায় নদী, কোথায় সড়ক। তবুও ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পারাপার হচ্ছে এ ঘাট।
বর্তমানে রূপসা নদীর পানি জোয়ারের সময় দুই থেকে আড়াই ফুট উঁচু হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঘাটের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘাট এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে। ফলে নদী পারাপারে হাজারো যাত্রীকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে খুলনার জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক নেতাদেরও তেমন কোনো উদ্বেগ নেই।
রূপসা ঘাটে এক হাঁটু পানি ভেঙে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঘাট পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ সময় পন্টুনের সঙ্গে ঘাটের যোগাযোগ স্থাপনকারী বেইলি রেলিংয়ের বিভিন্ন স্থান ভাঙা থাকায় যাত্রীরা ওই স্থান দেখতে না পারায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাঝে মাঝে ঘটছে দুর্ঘটনাও। যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত ঘাট পারাপারের টোল আদায় করা হলেও যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে কারও যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই।
জোয়ারের পানি গ্যাংওয়ের ওপর ওঠে যাওয়ায় যাত্রীদের নিজেদেরই যেখানে পার হওয়া দায়। প্রিয় বাহনকে না ভেজাতে সেখানে কতো না কষ্ট করতে হয় কাউকে কাউকে।
ছলাৎ ছলাৎ শব্দতরঙ্গ করে বয়ে চলে রূপসার জোয়ারের পানি। এ পানি দুর্ভোগের কারণ হলেও শিশুদের জন্য হয়তো উচ্ছ্বাসের বটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমআরএম/এএটি/এইচএ/