ঢাকা: ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড বন্ধুত্বের প্রতীক। বন্ধু দিবসে বন্ধুদের হাতে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ডের ধারণা আসে ১৯৭০ সালে। বন্ধুকে ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়ার নিয়মটি উল্লেখযোগ্যভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় দেশটির টিনএজারদের কাছে। কিন্তু বর্তমানে সারাবিশ্বে টিনএজার, সববয়সী বন্ধু ও সেলিব্রেটিদের কাছেও এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড মূলত সুতা দিয়ে হাতে তৈরি করা হয়। এর বিভিন্ন প্যাটার্ন রয়েছে- আলফা ব্রেসলেট, অ্যাঞ্জেল, ক্যান্ডি স্ট্রাইপ, ব্রোকেন ল্যাডার, শেভরন ইত্যাদি। নানা রঙের সুতা গিঁট দিয়ে এসব প্যাটার্নে তৈরি স্টাইলিশ ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড।
কিন্তু এ ব্যান্ড বা ব্রেসলেটের ধারণা আরও প্রাচীন। আধুনিককালে এদের পুণরুত্থান হয় ১৯৮০ সালে। কালের পেছনের পথে হাঁটলে দেখা যায়, মায়ান ইন্ডিয়ানদের অন্তর্ধান বিষয়ে বিক্ষোভ ও গুয়েতেমালায় কৃষকদের মধ্যে এ ব্যান্ড পরার প্রচলন ছিলো। পরে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মিছিলে পরার জন্য ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড আসে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের হাত ধরে।
ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড একসঙ্গে অনেকগুলো অর্থ বহন করে। বন্ধুত্ব, লোকশিল্প, সামাজিক বিবৃতি ইত্যাদি। সাধারণভাবে যদিও গৃহীত- এ রঙিন ব্যান্ডের উদ্ভব মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে। কিন্তু জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৪৮১ থেকে ২২১ তে চীনেও এমন কিছু ব্যান্ডের নকশা ছিলো।
বন্ধু দিবসের ঐতিহ্য অনুযায়ী, একবন্ধু অন্যবন্ধুর হাতে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড বেঁধে দেওয়ার সময় মনে মনে কিছু প্রার্থনা করে। বন্ধুর বেঁধে দেওয়া ব্যান্ড জীর্ণ হয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তা খুলতে নেই। বিশ্বাস করা হয়, এর মাধ্যমেই বন্ধুর সে প্রার্থনা প্রাপ্তিতে রূপান্তরিত হয়।
বেঁচে থাকুক বন্ধুত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
এসএমএন/এএ