ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

জিভে জল আনা ভারতের জনপ্রিয় ৮ স্ট্রিটফুড

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৬
জিভে জল আনা ভারতের জনপ্রিয় ৮ স্ট্রিটফুড

ঢাকা: ভারতের রন্ধনশিল্প ও মসলাদার নানান সুস্বাদু খাবারের জনপ্রিয়তা সবসময়কার। ভারতীয় খাবারের একটি বিশেষ আকর্ষণ সেখানকার স্টিট ফুড।

তেজি, ঝাল, মসলাদার, মিষ্টি স্বাদের আটটি ভারতীয় স্ট্রিটফুড নিয়ে এবারের আয়োজন-

পানিপুরি
ভারতীয় উপমহাদেশের বেশ কতগুলো অঞ্চলে খাবারটি প্রচলিত। পূর্ব ভারতে এটি ফুচকা নামে পরিচিত। ফাঁপা মচমচে পুরির ভেতর ছোলার ডাল, মরিচ, চাট মসলা, আলু, পেঁয়াজ, তেঁতুল চাটনি, ধনেপাতা ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। অঞ্চলভেদে পানিপুরি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডতে এটি ‘গোলগাপ্পা’, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে ‘পানি কে বাতাসে’, গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে ‘পানিপুরি’ এবং হায়দারাবাদে একে ‘গুপ চুপ’ বলা হয়।

লাচ্ছি
ভারতীয় উপমহাদের ঐতিহ্যবাহী পানীয় লাচ্ছি। দই দিয়ে তৈরি পানীয়টির উদ্ভব পাঞ্জাবে। লাচ্ছিতে দই, পানি, মসলা ও কখনও ফল যোগ করা হয়। কোথাও কোথাও জিরা দেওয়া হয়। মিষ্টি লাচ্ছিতে মসলার বদলে দেওয়া হয় চিনি, লবণ ও ফল।

জিলাপি
দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে জিলাপির জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভারতীয়রা যেকোনো খাবারের শেষে টুইস্টি এ মিষ্টি পছন্দ করেন। গরম কচুরির সেরা জুটি ক্রিসপি জিলাপি।

কুলফি
দুধ আর মিষ্টি স্বাদের কুলফি ভারতের অন্যতম প্রিয় ডেইরি ডেজার্ট। একে ট্রেডিশনাল ইন্ডিয়ান আইসক্রিম বলে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কুলফি তৈরিতে যোগ করা হয় দুধ-মালাই, গোলাপজল, আম, এলাচ, জাফরান, পেস্তা ইত্যাদি। আধুনিক কুলফিতে যুক্ত হয়েছে- আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, বাদাম ও অ্যাভোকাডো ফ্লেভার।

ভেলপুরি
মসলাদার স্ন্যাক ভেলপুরি। এটিকে এক ধরনের চাট বলা যেতে পারে। মুড়ি, সবজি ও মসলাদার তেঁতুলের জল দিয়ে ভেলপুরি বানানো হয়। মুম্বাইয়ের রেঁস্তোরা ও স্ট্রিট ফুড স্টলগুলো থেকে খাবারটির উৎপত্তি। পরে ধীরে ধীরে এটি ভারতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। অঞ্চল অনুযায়ী, স্থানীয় উপকরণের সহজপ্রাপ্যতা অনুসারে খাবারটির রকমফের তৈরি হয়। অনেকের মতে, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ, লেবুর রস ও ধনে দিয়ে মসলাদার ভাদাং নামক খাবার থেকে ভেলপুরির উৎপত্তি। কলকাতায় ভেলপুরির বিকল্পকে ঝালমুড়ি বলা হয়। এছাড়াও বেঙ্গাল্যুরে ভেলপুরি চুরুমুড়ি নামে পরিচিত।

পাও ভাজি
মহারাষ্ট্রের ফাস্টফুড পাও ভাজি। এতে ডিশে মাখন দিয়ে রান্না করা আঠালো সবজির সঙ্গে সফট ব্রেড রোল দেওয়া হয়। ১৮৫০ সালে মুম্বাইয়ের টেক্সাইল মিলের কর্মীদের জন্য লাঞ্চ আইটেম হিসেবে প্রথম উপস্থাপন করা হয় পাও ভাজি। এরপর আস্তে আস্তে তা রেস্টুরেন্টগুলোতে স্থান করে নেয়। পাও ভাজির বিভিন্ন রেসিপি রয়েছে। পনির পাও ভাজি, মাশরুম পাও ভাজি, ড্রাই ফ্রুট পাও ভাজি ইত্যাদি।

আলু টিক্কি
উত্তর ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আলু টিক্কির পরিচিতি রয়েছে। সিদ্ধ আলু, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি আলু টিক্কি তেঁতুল, ধনে পাতা ও পুদিনার সস বা কখনও ছোলার ডালের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

দোসা
দোসার উৎপত্তি দক্ষিণ ভারতে। চাল ভিজিয়ে রেখে বেঁটে রাইস বাটা তৈরি করা হয়। তারপর তাওয়ায় অল্প ঘি দিয়ে রাইস বাটার ঢেলে ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয় দোসা। ডাল, চাটনি ও আচারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় মজাদার দোসা।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।