ধামরাই, ঢাকা: ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ফল বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার ছাদনাই গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে জাকির হোসেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফল বিক্রি করেন তিনি।
প্রতিদিন ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেন জাকির। ৫ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে জাকির চতুর্থ। অষ্টম শ্রেণি পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি। অভাবের কারণে সেসময় তাকে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল। কিশোর বয়সেই বাধ্য হয়ে তাকে ধরতে হয়েছিল সংসারের হাল। বছর চারেক আগে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে।
জাকিরের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় দুই ব্যক্তি এলেন ফল কিনতে। তাদের মধ্যে আব্দুল কাদের নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, জাকিরের দোকান ছোট হলেও ওর দোকানে মৌসুমি দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করা হয়। আমি জাকিরের দোকান থেকেই সবসময় ফল কিনি।
জাকিরের দোকানে আপেল, কমলা, কলা, আঙুর, বেদানা, পেঁপেসহ সব মৌসুমি ফল পাওয়া যায়।
ফল বিক্রেতা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রথমে ধামরাই এসে একটি ওয়াকর্সপে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করি। তখন মাসে আয় হতো ৩ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে সংসারের কাউকে ভাল জিনিস খাওয়াতে ও পড়াতে পারতাম না। সংসারের অভাব অনটন পিছু ছাড়তো না। পরে আমার বাবা ও পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার করে ছোট একটি ফলের দোকান দেই। এর পর থেকে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করে। এখন বেশ ভালোভাবেই চলছে আমার সংসার।
তিনি আরও বলেন, বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে অল্প কিছু টাকা দিয়ে ফলের ব্যবসা করেও স্বাবলম্বী হতে পারেন। ৫০-৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা অনায়াসে রোজগার করা যায়।
দেশি ও বিদেশি ফল বিক্রি করে জাকিরের মতো আরো অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারে এমনটি ধারণা জাকিরের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
আরএ