বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এশিয়া মহাদেশের প্রায় সমস্ত জায়গাতেই কাঁঠালের অাবির্ভাব লক্ষ্যণীয়।
কাঠালে নাকি ক্যানসার যথেষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতীয় উপমহাদেশের পলিমাটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল জন্মে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন, যেগুলি ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম।
এছাড়া অাছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ওআয়রন। এখানেই শেষ নয়, অাছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। সঙ্গে অাছে ভিটামিন বি সিক্স এবং ভিটামিন সি ভরপুর। শুধু কাঁঠালে নয়, এঁচোড়েও একই পরিমাণে খাদ্যগুণ থাকে। এ খাদ্যগুণের জন্য একে মাংসের পরিপূরক বলে মনে করা হয়।
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাঁঠালের উপযোগিতা অনেকখানি বলে দাবি করছেন অাধুনিক গবেষকরা। কাঁঠালে রয়েছে আইসোফ্লেবন্স, লিগনানস, ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্টস ও স্যাপোনিনস নামের পদার্থ যা অ্যান্টি ক্যানসার এজেন্ট নামে পরিচিত।
এরমধ্যে ফাইটোনিউট্রিএন্টস ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। আলসার দূর করতে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্টস-এর কার্যকারিতা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত।
স্যাপোনিনস ক্যানসার প্রতিরোধে আরও একটি প্রমাণিত রাসায়নিক। লিউকেমিয়া কোষের উপর স্যাপোনিনস-এর যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আইসোফ্লেবন্স ও লিগনানস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় বলে মত গবেষকদের। শুধু তাই নয় সেলুলার ডিএনএ –কে শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি র্যাডিকেলস থেকে বাঁচাতেও কাঁঠালের জুড়ি মেলা ভার।
এছাড়াও কাঁঠালের মধ্যে ফাইবার ও কাঁঠালের আঠা খাদ্যনালির মধ্যে তৈরি হওয়া বেশ কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক নষ্ট করে খাদ্যনালিকে সুস্থ রাখে।
এক কাপ কাঁঠালের রসে ১৫৫ গ্রাম ক্যালরি থাকে। তার মধ্যে মাত্র ৪ গ্রাম ফ্যাট। শুধু তাই নয়, প্রোটিন সমৃদ্ধ এ ফলে কোলেস্ট্রেরলের মাত্রাও খুব কম। এছাড়াও আছে জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো পদার্থ ।
শুধু ক্যানসার কেনো, দুপুরে বা রাতে যেকোনো একট মিল শুধু কাঁঠাল দিয়ে সারুন। বাকিটা অাপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এএ