ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ভাসানীর প্রয়াণ, মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
ভাসানীর প্রয়াণ, মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন।

১৭ নভেম্বর, ২০১৬, বৃহস্পতিবার। ০৩ অগ্রহায়ণ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫৫৮- প্রথম এলিজাবেথ ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
প্রথম এলিজাবেথ ১৭ নভেম্বর ১৫৫৮ থেকে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রানি, ফ্রান্সের রানি (কেবল নামে) ও আয়ারল্যান্ডের রানি ছিলেন। ১৫৩৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের গ্রিনউইচে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৭৯৬- নেপোলিয়ন অস্ট্রিয়ানদের পরাজিত করেন।
১৯৭০- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

১৯৯৯- ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির গৌরবের একটি দিন। বুকের তাজা রক্তে ভাষার বুলি কেনার দিন। যা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে সুপরিচিত। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের আত্মদানে বাঙালি পায় তার নিজের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অণুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

জন্ম
১৯৪২- মার্টিন স্কোরসেজি, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক
১৯৫২- রুনা লায়লা, খ্যাতিমান গায়িকা।

মৃত্যু
১১৮৮- উসামা ইবনে মুনকিজ, একজন সিরীয় মুসলিম কবি, লেখক, ফারিস ও কূটনৈতিক।
১৮৫৮- রবার্ট ওয়েন, ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক এবং কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ।
১৯১৭- অগুস্ত রদ্যাঁ, আধুনিক যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর।

১৯৭৬- মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ।

আবদুল হামিদ খান ভাসানী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এক অমর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই নেতা ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪’র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ভাসানী। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দারুণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার অণুসারীদের অনেকে এজন্য তাকে ‘লাল মওলানা’ নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭’র কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ‘ওয়ালাকুমুসসালাম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।