এখানে-সেখানে কাঠ জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে শিশু থেকে বুড়ো সবাই। কারবারি (পাড়া প্রধান) তিনওয়াই ম্রো’র বাঁশের চাটাইয়ে তৈরি খোলা বারন্দায় ভিড় জমেছে।
একে একে বসে গেলেন- এ পাড়ার সওনাই ম্রো (৭৩), কুমরাও ম্রো (৬৪), কমনিং ম্রো (৪৭) ও রেংলক ম্রো (৫৪)। হেডম্যান মেন পুং ম্রো (৬৮) বসেছেন চেয়ারে, তার ঠিক বামপাশে গাঁছের গুড়িতে পাড়াপ্রধান তিনওয়াই ম্রো (৬০)। প্রত্যেকেই রেংমিটচা ভাষা জানেন। তাদের সঙ্গে কথা এগিয়ে নেবেন হেডম্যান।
প্রতেকেরই বয়স ৪০-৭০ এর উপরে। বহু আগে রেংমিটচা ভাষায় দৈনন্দিন কাজ সারতেন। এখন চারদিকে দমরং ও দওপ্রেং ভাষার ছড়াছড়ি। নিজেদের মধ্যে তারা এখন দমরং ভাষায় কথা বলেন। চর্চার অভাবে রেংমিটচা বলার সময় তাই দমরং ভাষার শব্দ-বাক্য ঢুকে যায়। এটা তাদেরই স্বীকারোক্তি।
এরপরও হেডম্যানের মাধ্যমে শুধু রেংমিটচা ভাষায় কথা বলার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
দীর্ঘ প্রায় ২০-২৫ মিনিটের কথোপকথনে বেশ কয়েকবার দমরং শব্দ-বাক্য যে ঢুকে যায়নি তা নয়। তখনই হেডম্যান সতর্ক করেন, দমরং নয় রেংমিটচা বলো।
সবমিলিয়ে বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি বাংলানিউজের উদ্যোগে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। পাঠকদের জন্য প্রথম পর্ব।
রেংমিটচা ভাষা (১ম অংশ):
রেংমিটচা ভাষা (২য় অংশ):
রেংমিটচা ভাষা (৩য় অংশ):
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এসএনএস
আগের পর্বগুলো পড়ুন-
** পৌষালি পূর্ণিমায় ছয়জনের আড্ডা জমে রেংমিটচায়
**জুম চাল-কুমড়ায় ভোজ ও রেংমিটচাবৃত্তান্ত
**পাহাড়-ঝিরি পেরিয়ে রেংমিটচার টানে
**‘পাড়ায় গিয়ে রেংমিটচা ভাষার সব দেখাবো’