উপলটির ওজন ৯৯৮ গ্রাম। যার শরীর জুড়ে নানা স্থান থেকে ছোটে লাল-নীল-সবুজ-হলুদ আরো নানান রঙের আলোর বিচ্ছুরণ।
মহামূল্যবান এই উপলের দাম ৬ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সমান। এটি বিশ্বের এ পর্যন্ত জানা সবচেয়ে উচ্চমানের উপল। অস্ট্রেলিয়ার এডেলেইডের সাউথ অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের মালিকানায় রয়েছে এটি। মান ও আকার উভয় দিক থেকেই এই রত্নপ্রস্তর অনন্য।
১৯৪৬ সালের খননকারী ওয়াল্টার বার্ট্রাম দক্ষিণ অষ্ট্রেলিয়ার কুবার পেডিতে এইট মাইল নামের উপল ক্ষেত্র খননের সময় এটি আবিষ্কার করেন। বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত উপলের ৯০ শতাংশই পাওয়া গেছে এই ক্ষেত্র থেকে। আবিষ্কারের পর এর বিশেষত্ব দেখে বার্ট্রাম পরিবার এটি নিজেদের কাছেই সংরক্ষণ করে। এর নাম দেয় ফায়ার অব অস্ট্রেলিয়া। তারা এই প্রস্তর খণ্ডের দুটি পাশ ঘষে মসৃণ করে তোলেন। সাধারণত বড় আকারের উপল কখনোই মসৃণ করা যায় না। বরং একে ভেঙ্গে টুকরো করে তা মসৃণ করে তোলা হয়। তা বাজারে বিকোয় চড়া দরে। কিন্তু ফায়ার অব অস্ট্রেলিয়া কখনোই ভাঙ্গা হয়নি। সে অবস্থাতেই বার্ট্রাম পরিবারের কাছে সেটি থেকে যায় টানা ৬০ বছর। অতি আদরে, অতি সতর্কতায় একটি বাক্সের ভেতর সংরক্ষিত থাকে পাথরটি। এবার সেটি প্রদর্শণের জন্য দেওয়া হলো সাউথ অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামে। ওয়াল্টার বার্ট্রামের ছেলে অ্যালান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, যোগ্য হাত ও যোগ্য স্থানেই যাচ্ছে ‘ফায়ার অব অস্ট্রেলিয়া’। অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বের মানুষ এখন থেকে পাথরটি দেখতে পাবেন।
তবে ফায়ার অব অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও দামি ও বড় উপল রয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় ও দামি উপলটির নাম অলিম্পিক অস্ট্রেলিয়া। যা ৩.৪৫ কিলোগ্রাম ওজনের এবং সেটি ১৭ হাজার ক্যারেটের একটি রত্ন প্রস্তর। এর দাম ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ সময় ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএমকে