নববধূ থেকে শুরু করে অনেক গৃহিণীও বসন্তবরণে যোগ দিচ্ছেন নানা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের কোথাও কোথাও গান বাজছে, ‘বাসন্তী রঙ শাড়ি পরে...’।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুনের সকালে খুলনা নগরজুড়েই যেন বসন্তের ছোঁয়া লেগে গেছে। বাসন্তী রঙের ছটা ছড়িয়ে যাচ্ছে শহরময়। কুয়াশার নিষ্পেষণে মুমূর্ষু প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তুলতেই বসন্তের আগমন ঘটে। গাছে গাছে নতুন পাতা, শাখায় শাখায় শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়াসহ বিচিত্র ফুলের বর্ণাঢ্য সমারোহ।
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। নির্সগের এই বিপুল পরিবর্তনের প্রভাব মানবহৃদয়েও দ্যোতনার সৃষ্টি করে। অনুভূতি জাগায় ভালোবাসার। ব্যাকুলতা জাগে তা প্রকাশের। হৃদয়ের বন্ধ দরজা খুলে গোপন কথাটি মেলে ধরতে উৎসুক প্রিয়জনকে।
তাই হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, বিনোদন কেন্দ্র সবখানেই বসন্তের ছোঁয়া। ফাগুনের আগুন দ্বিগুণ করে ফাগুনের সঙ্গেই আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (১৪ ফেব্রুয়ারি)। প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের দোকানে ভিড় করছেন অনেকে।
এদিকে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পহেলা ফাল্গুন দিনব্যাপী বসন্তবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমি ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্য পরিবেশনা।
খুবির বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী নুসরত বাংলানিউজকে বলেন, বাঙালি জীবনে বসন্তের আলাদা উপস্থিতি নতুন নয়। সেই প্রাচীনকাল থেকেই সক্রিয় গৌরব আর রঙে উজ্জ্বল বসন্ত। নানা রঙে, নানা সাজে, নেচে-গেয়ে নানা আয়োজনে আজ সবাই বরণ করে নিচ্ছে, সেই ঋতুরাজ বসন্তকে। যেখানে পিছিয়ে নেই আমরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমআরএম/এএটি/এইচএ/