ভালোবাসতে কোনো দিন লাগে না। তবু সবাই একটি বিশেষ দিন চায়, যেদিন শুধুই ভালোবাসার মানুষটির জন্য বরাদ্দ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এমনই বিশেষ দিন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই দিবসের সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে ভালোবাসার রঙে রঙিন। গোলাপের বিনিময় আর হাতে হাত রেখে চলতে চলতে পথও যেন গান ধরছিল কবিগুরুর ভাষায়, ‘...ভালোবাসি পরাণ ভরি...”বিকেল গড়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, মলচত্বর, সবুজ চত্বর, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এলাকা, হাকিম চত্বর, টিএসসি, কার্জন হল সর্বত্র উৎসব-আড্ডার আমেজ বিরাজ করে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, লাল রঙের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে হাত ভর্তি লাল চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ তুলেছেন প্রেমিকারা। সেই রিনিঝিনি ছন্দ যেন আন্দোলিত করছে লাল অথবা সফেদ পাঞ্জাবি পরা প্রেমিকদের হৃদয়। প্রেমের গল্প-আড্ডায় সেলফিও বাদ যাবে কেন? সেজন্য হাত বাড়িয়ে সেলফি উৎসবেও মাততে দেখা গেলো কাউকে কাউকে। প্রিয়-প্রেয়সীদের ভালোবাসা দিবসের এই মেলা মিলে গেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। অনেককে দেখা গেলো খানিকটা আড্ডা দিয়ে প্রিয়জনের হাত ধরে বইমেলায় ঘুরতে।
যেমন রাজধানীর মিরপুর থেকে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে এসেছেন রায়হান রিহান। তিনি বলেন, আমাদের সর্ম্পকের পর আজকেই আমরা প্রথম ভালবাসা দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে। সারাদিন ঘুরবো, বিকেলে বইমেলা থেকে ওকে (প্রেমিকাকে) বই কিনে উপহার দেবো। সত্যি আজকের এই দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।
দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরের সামনে ফুল বিক্রি করতে দেখা গেলো ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের।
ফুল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, অন্য দিনের তুলনায় তিনি অনেক ফুল বিক্রি করেছেন মঙ্গলবার। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের দাম বাড়ানোর কারণে ভালো লাভ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা প্রকাশ যেন বৃত্ত ভেঙে মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু, পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গেও হয় সে প্রত্যাশাও দেখালেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জোবায়ের উদ্দিন আরমান বাংলানিউজকে বলেন, ভালোবাসা দিবস বলতে এখন শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক মনে করা হয়। আসলে ভালোবাসা প্রকাশ হতে পারে বন্ধু, বাবা-মা, পরিবার-পরিজন সবার প্রতিই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এএটি/এইচএ/