চা-শ্রমিক লাইন ধরে এগিয়ে যেতেই হঠাৎ চোখে পড়লো কী যেন একটা দুলছে। দূরে থেকে শিশুটিকে দেখাই যাচ্ছে না।
ছায়াঢাকা বাড়িটির এককোণে পাশাপাশি ঠাঁয় দাঁড়ানো মাঝারি আকারের দু’টি গাছ। গাছ দু’টি সোজা উঠে গেছে খাড়া হয়ে। এই গাছ দু’টোর সমান দূরত্বে নিজস্ব উপায়ে তৈরি করা অস্থায়ী দোলনায় দোল খাচ্ছে একটি শিশু। শিশুটির মা নিজেই এমন একটি সহজ দোলনা তৈরি করেছেন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রীমঙ্গল উপজেলার দুর্গম এলাকা হরিণছড়া চা বাগানের শ্রমিক লাইন জনপ্রতিনিধি অভি কুর্মির বাড়িতে এ দৃশ্য ধরা পড়লো। মায়ের নিজস্ব পদ্ধতিতে দোলে দোলে উঠছিল জোনাকি হাসি। জোনাকির বয়স মাত্র ৭ মাস।
শিশুটির মুখ দেখা যাচ্ছিল না তখনও। দোলনার শাড়িতে ঢাকা পড়ে গেছে। ক্যামেরার লেন্স তাক করতেই শিশুটি ঠোঁট বাকা করে হেসে উঠলো। যেন আলো ছড়ানো হাসি। হাসিটিও দোলনায় তখন দোল খাচ্ছিল অপূর্বভাবে।
শিশুটির মা শিলা কুর্মি বাংলানিউজকে জানান, একমাস বয়স থেকে জোনাকি এভাবে শাড়ির দোলনায় দোল খেতে শিখে গেছে। কান্নাকাটি করলে শাড়ির দোলনায় নিয়ে দোলা দিলেই সে শান্ত হয়ে যায়। আমু চা বাগান থেকে মা-বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
এ শাড়ির দোলনাটি তৈরি করা একেবারে সহজ। শুধু প্রয়োজন একটি নতুন মজবুত শাড়ি। দুই মাথায় শাড়িটিকে শক্ত করে বাঁধতে হবে। যাতে কখনো না ছুটে যায়। যে কেউ ইচ্ছে করলেই বাসায় শাড়ির দোলনা তৈরি করতে পারবেন বলে জানান শিলা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
বিবিবি/এসএইচ