ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

জিভে জল এসে যায় আচারে

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
জিভে জল এসে যায় আচারে জিভে জল এসে যায় আচারে

বাণিজ্য মেলা ঘুরে: আচার খেতে কার না ভালো লাগে। গুণে-মানে-স্বাদে ভরা হলে তো কোনো কথাই থাকে না। কিন্তু আচারের স্বাদ নিতে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। এজন্য যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে মনে করার কারণ দেখি না।
 
 

তবে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিউলি আচারের স্টলের চিত্র কিছুটা ভিন্ন মনে হলো। আচার কেনার দিকে দিয়ে পুরুষ ক্রেতারাও একেবারে পিছিয়ে ছিলেন না।

স্টল ঘিরে তাদের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়।
 
শুক্রবার (১০ মার্চ) রাতে বগুড়া শহরের শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
 
স্টলের সামনে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি টেবিল। টেবিলগুলো লাল কাপড়ে সুন্দরভাবে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ওপর লাল গামলায় ভরে হরেক পদের আচারের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
 
স্টলের পেছন অংশে সারি সারি তাক তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে বোতলে ভরে রাখা হয়েছে নানা পদের আচার। এ স্টলে আটাশ পদের আচার রয়েছে। যা দেখলেই জিভে জল এসে যায়।
 
শিউলি আচার স্টলের মালিক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রহিম। কয়েক যুগ ধরে তারা আচার বানিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। নতুন নতুন ফলের আচার তৈরি করছেন। তৈরি করা আচারের গুণগত মান ও স্বাদ বাড়ানোর চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন তারা। স্টলে সাজানো বোতল ভর্তি আচার
 
তিনি জানান, আম, জলপাই, বড়ই, তেঁতুল, চালতা, মরিচ, রসূন, আমলকি, ত্রিফল, জাফরুল, আমফলসি, হরতকিসহ আটাশ পদের ঝাল-মিষ্টি আচার তৈরি করা হচ্ছে। পদের সংখ্যা আরো বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া গুণগত মান ও ঐতিহ্য ধরে রাখার ব্যাপারেও ছাড় দিতে নারাজ বলেও জানান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।
 
তিনি আরো জানান, দিন গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাবিক্রিও বাড়ছে। কিন্তু মূল বেচাকেনা শুরু হয় বিকেল থেকে। ছুটির দিনে অন্যদিনের তুলনায় বেচাবিক্রি কয়েকগুণ বেশি হয়। নারীদের পাশাপাশি ছেলেরাও ব্যাপক পরিমাণ আচার কিনছেন বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।  
 
আফরোজা, মনোয়ারা, সাবরিনা, সুমি ইসলামসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, মেলা ছাড়া এতো পদের আচার কোথাও একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এছাড়া দোকানের আচার এরকম টাটকাও হয় না। তাই এখান থেকে আচার কেনা বলেও জানান এসব ক্রেতা সাধারণ।
 
সেলিম আহম্মেদ, জহুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ইচ্ছে হলেও তৈরি করার অভাবে বাসায় আচার খাওয়া হয় না। এতো পদের আচার বাসায় তৈরি করাও সম্ভব না। এক দোকানেও পাওয়া সম্ভব না। এসব আচার খেতেও বেশ স্বাদ লাগে।
 
এর আগে বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে ও শান্তি পায়রা উড়িয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আশরাফ উদ্দিন মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
 
মেলায় মোট ৪টি প্যাভিলিয়ন ও ৭৮টি স্টলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন মেলায় আসা ক্রেতা সাধারণ। এছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড ও সার্কাসের ব্যবস্থা রয়েছে মেলায়।
 
বিভাগীয় শহরের বাইরে দেশের মধ্যে কেবল বগুড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের অনুমোদন রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।