যুক্তরাষ্ট্রের হাফিংটন পোস্টে এ নিয়ে ফিচার লিখেছেন জুলি আর থমসন। বলেছেন-এফওয়াইআই: হানি ইজ বেসিক্যালি বি ভমিট।
বুঝতেই পারছেন- আপনার জন্য তথ্য হচ্ছে মধু আসলে মৌমাছির বমি। স্রেফ উদগীরিত ফুলসুধা।
মধু নিয়ে আপনার মনকে বিষিয়ে তোলা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবে এতো সত্য-মধু হচ্ছে মৌমাছির বমি। হতে পারে এই বমনের মান নিয়ে ভিন্ন বিশেষজ্ঞের ভিন্ন মত থাকবে। কিন্তু মোটের ওপর বমিতো বমিই।
যে প্রক্রিয়ায় মৌমাছির এই মধু তৈরি তা বেশ চমকপ্রদ। প্রথমে মৌমাছি ফুল থেকে সুধা সংগ্রহ করে। আর সে সুধা তারা নিজেদের পাকস্থলিতে জমা করে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি আবার মৌমাছির ওই পাকস্থলিটি নয় যেখানে খাদ্য জমা হয়, আর পাকতন্ত্র কাজ করে। মৌমাছির দুটি পাকস্থলি, সেই দ্বিতীয় পাকস্থলিতেই জমা হয় মধু। এই পাকস্থলিটি এমন যে সেখানে কোনও কিছুই নষ্ট হয় না। এরপর মৌমাছি যখন চাকে ফেরে, তখন মৌমাছি সেই জমিয়ে রাখা মধু মুখ দিয়ে উগড়ে দেয়।
সুতরাং সন্দেহের অবকাশ নেই যে, মধু হচ্ছে মৌমাছির বমি।
এই যে মধূ সংগ্রহ, শরীরের ভেতরে তা জমিয়ে রাখা আবার তা উগড়ে দেওয়া এর মাঝে একটি কাজ হয়, তা হচ্ছে মৌমাছির দেহকোষের জৈব রাসয়নিক পদার্থের সংস্পর্শে গিয়ে মধু একটি স্থায়ীত্ব পায়, ফলে তা আর দীর্ঘ সময়েও নষ্ট হয় না। সাধারণত মৌমাছি তার শীতের দিনের খাবার হিসেবে মধু জমা করে, সুতরাং এই নষ্ট না হওয়ার বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আরেকটি মজার তথ্য হচ্ছে, পাকস্থলি থেকে মৌচাকে মধু উগরে দেওয়ার পর মৌমাছি পাখা ঝাপটিয়ে টানা বাতাস দিতে থাকে। মনে করবেন না, গরম মধু ঠাণ্ডা করতে এই কাজ। আসলে বাতাস পেয়ে মধুর ভেতরে জমে থাকা পানিগুলো যাতে জলীয় বাষ্প হয়ে উড়ে যায় সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
সাধে কি আর বলে- মৌমাছির তোলা মধু শতভাগ খাঁটি। হোক তা সে বমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি… তাতে কি আসে যায়… মধুতো মধুই।
হাতে পেলে চেটেপুটে খেয়ে ফেলুন… বমি নিয়ে ভেবেছেন কি মরেছেন।
বাংলাদেশ সময় ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এমএমকে