তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৭ মার্চ, ২০১৭, শুক্রবার। ০৩ চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯৪৮ - ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গের প্রতিনিধিরা ব্রাসেলসে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ব্রাসেলস চুক্তি নামে সেটি পরিচিত। এ চুক্তির আওতায় দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো হয়। যদিও ২০১৭ সালে এ অকার্যকর ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৪ - মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে গৃহযুদ্ধের খবর সংগ্রহকালে ৪ ডাচ সংবাদিক নিহত হন।
২০০৪ - কসোভোতে সার্ব ও আলবেনীয়দের জাতিগত দাঙ্গায় ২২ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়।
ব্যক্তি
১৮৪৬ - জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম বেসেলের জন্ম।
১৯২০ - স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার শেখবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি মহানায়ক। নিভৃত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া শিশু শেখ মুজিবই এক দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে তিনি বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। ৭১ এর ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার চূড়ান্ত আহ্বান জানান। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তি সংগ্রাম’, ‘তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাক’-বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত আহ্বানই জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস যোগায়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাটি দেন। তার এই ঘোষণায় বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস লড়াইয়ের পর ১৬ ডিসেম্বর লাল-সবুজের বাংলাদেশে উদিত হয় স্বাধীন সূর্য। পরে স্বাধীন বাংলাদেশকে তিনি গড়ে তোলেন স্ব-পরিচয়ে। কিন্তু ঘাতক চক্র পঁচাত্তরের কালরাতে সপরিবারে তাকে হত্যা করে কলঙ্কিত করে স্বাধীন বাংলার মাটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এইচএ/