নববর্ষের দিন রাস্তার পাশে খোলা মাঠে ও বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। আর এই মেলায় থাকে নানা রকম কুটির শিল্প ও মৃৎশিল্পের সামগ্রী।
মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর বাজার খাল সংলগ্ন ছোট্ট একটি গ্রাম পুরহিতপাড়া, পালবাড়ি, এখানকার মানুষ চার পুরুষ ধরে মৃৎ শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
ঘুরে ঘুরে তাদের কাজ দেখা এবং তা ক্যামেরা বন্দি করা।
কাজ করছিলেন শ্রী হরিপাল। তিনি গ্রামের একটি বাড়ির কর্তা, কথা বলে জানা যায়, তারা চার পুরুষ এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত। তবে দিন দিন এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে শঙ্কায় তিনি।
এ কাজে পরিষ্কার এঁটেল মাটির প্রয়োজন। এই মাটি বেশ আঠালো। তবে ঠিক মতো মেলেনা মাটি এমনকি শত কষ্টের পর পণ্য যেন বিক্রি করাই দায়!
এক একটি পণ্য তৈরিতে দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ছাড়া এই কাজ কষ্টই বটে। তবে কুমোরদের কাছে এসব খুব সহজই- চোখে দেখলে এমনই মনে হবে।
হাতের নৈপুণ্যে তৈরির পর রোদে শুকাতে দেওয়া হয়, শুকিয়ে গেলে করা হয় রঙ। এরপর শেষ গন্তব্য বাজারে। তবে এখন মূলত কাজ হচ্ছে বৈশাখী মেলায় পণ্য সরবরাহের। ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) ঢাকার রমনা বটমূল এমনকি শাহবাগ মোড়েও শোভা পাবে এসব পণ্য।
মাটির শিল্পের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এখন একান্ত জরুরি বলে জানান, হরিপালসহ অন্য কারিগররা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
আইএ