রোববার ১৬ এপ্রিল সকালে কড়াইল বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, নারী ও পুরুষ মিলে প্লাস্টিকের বস্তা সেলাই করে বড় আকারের প্যাকেট তৈরি করছে। তার ভেতরে ককশিট ও প্লাস্টিকের পানির বোতল দিয়ে আনুমানিক ৮ ফুট লম্বা, ৬ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উচ্চতার ভেলা তৈরি করা হচ্ছে।
বর্ষীয়ান মাঝি রহিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এই শিশুরাই এ ধরনের ভেলা তৈরি করেছে খেলতে খেলতে। এখন আমরাও চালাই। যাত্রী পার করি।
এই ভেলা প্রতি যাত্রায় ১২ থেকে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেপ মারে। ভাড়া জন প্রতি ৫ টাকা।
ভেলাগুলোর মালিক রয়েছে। তবে যারা চালায় তারা ভাড়ার অর্ধেক মালিককে দেয়। ভেলাগুলোর দাঁড় বেশিরভাগই শিশুদের হাতে। যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর।
শাকিল (১২) নামে এক শিশুও ভেলা বায়। বাংলানিউজকে সে বলে, সকালে স্কুলে যাই আর সারাদিন নৌকা চালাই, সারাদিনে দেড়শ’ থেকে দু’শ’ টাকা পাই।
তবে এই ভেলাতে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। নৌকার একজন যাত্রী বলেন, গত সপ্তাহে এই ভেলা উল্টে ১২ জনের ১০ জনই পানিতে পড়ে যায়। শুধু আমি আর এক মুড়িওয়ালা পড়িনি। ওদের সবার মোবাইল টাকা পয়সা এই পচা পানিতে পড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
জিএমএম/জেডএম