সেই ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদের আজ আর কিছুই নেই। এখানকার মূল পর্যটন আকর্ষণ কয়েকটি সমাধিক্ষেত্র ও ছোট রাজবাড়ি।
কাসিমপুরের পাতালেশ্বর মন্দিরটি বেশ পুরনো। পুরনো মন্দিরটি সংস্কার করে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকেই চোখে পড়বে প্রশস্ত বাগান। সেই সঙ্গে রয়েছে বড় বড় বৃক্ষরাজি। এখানে শিবরাত্রি উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলা থেকেও ভক্তরা আসে।
ইতিহাসবিদ বিষাণ গুপ্তের মতে ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এলাকায় একসময় অন্তত শতাধিক শিব মন্দির ছিলো। বর্তমানে শুধু পাতালেশ্বর শিবমন্দিরটি রয়েছে।
বাগানের পাশ দিয়ে একটু এগুলেই ছোট একটি ঘর। তার বারান্দা দিয়ে একটু ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে একটি শিবলিঙ্গ।
প্রাচীরের চারপাশজুড়েই রয়েছে নানা জাতের ফুলের বাগান। মন্দিরের পাশেই রয়েছে নদী। নদীর তীর ঘেঁষেই এই মন্দির। কাটিগঙ্গা নদীর বাঁকের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুইপাশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
মন্দিরে ঢোকার প্রধান ফটকেই রয়েছে শিবের মূর্তি। এর উচ্চতা ৪০ ফুট। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এখানে ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। সেসময় সারাদিনই পূজা অর্চনা হয়। এসময় এখানে মহা ধুম ধাম লেগে যায়। ভক্তদের খানাপিনার জন্য থাকে বিরাট ব্যবস্থা।
ভেতরে রয়েছে একটি দান সংগ্রহশালা, যেখানে শিব ভক্তরা দান করেন। রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক স্নান ঘাট। বড় বড় কয়েকটি অশ্বথ ও বট গাছ রয়েছে এখানে। তার নিচেও পূজা-অর্চনা হয়। নদীর এ তীরটির নাম সতীদাহ ঘাট। সেই অনুযায়ী মন্দিরের নাম দেওয়া হয়েছে সতীদাহ ঘাটের পাতালেশ্বর মন্দির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এসএনএস
আগের পর্ব পড়ুন-
** ১ম পর্ব: এক যে ছিলো মুর্শিদাবাদ
** ২য় পর্ব: কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ
** ৩য় পর্ব: মানুষ যে হায় ভুলে গেছে চির মধুর ভালোবাসা
** ৪র্থ পর্ব: চার ভাইয়ের বাগান বিলাস ও একটি গুপ্তপথ
** ৫ম পর্ব: জগৎশেঠকে সপরিবারে হত্যা করা হয় যে প্রাসাদে
** ৬ষ্ঠ পর্ব: নুরলদীনের ‘জাগো বাহে’ শোনা যায় নসীপুর প্রাসাদে
** ৭ম পর্ব: কিরীটেশ্বরী মন্দির ও জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম
** ৮ম পর্ব: মুর্শিদকুলি খাঁর কলিজাখেকো মেয়ের সমাধি!
** ৯ম পর্ব: হেস্টিংসের স্ত্রী, মেয়ের সমাধি ও একটি আর্মেনিয়ান চার্চ
** ১০ম পর্ব: মুজিবনগর ও পলাশী: বাংলার ইতিহাসের দুই আম্রকানন
** ১১ম পর্ব: ৩শ বছরের ডাচ সিমেট্রি ও যোগেন্দ্র নারায়ণের মন্দির