সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলির শ্রম আর বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা সহযোগিতা আর সবার দোয়া ছিলো বলেই আজ আমার এ সফলতা।
অনুভূতি প্রকাশ করার মতো আর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি! আমার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়া। মানুষের সেবা করতে চাই আমি। আমার দেশের কোনো মানুষ যেনো আর টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। সবার কাছে দোয়া চাই যাতে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।
আমার ফল শোনার পর প্রথমে আমার মাকে জানিয়ে জড়িয়ে ধরে নীরবে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম বাকরুদ্ধ হয়ে। আসলে সারাবছর মানুষটা আমার জন্য এতো কষ্ট করেছেন। এ সফলতা যতোটুকু আমার তার চেয়ে অনেক বেশি আমার মায়ের। বাবার অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না। তার অক্লান্ত পরিশ্রম আমার বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা।
এখন ইচ্ছা ভালো একটি কলেজে ভর্তি হয়ে আমার পরবর্তী স্বপ্নটা পূরণ করা। আমার সফলতার পেছনে আরেকজনের অবদানের কথা না বললেই নয়। তিনি বিদ্যাময়ীর হোস্টেল সুপার নীলা ম্যাডাম। চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে আমি বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আসার পর হোস্টেলে তার ভালবাসা ও সহযোগিতায় আমি পরপর অনেকগুলো ভালো ফল করেছি। এছাড়া আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা আক্তারও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন। আমার সকল পথ প্রদর্শক শিক্ষকদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতার মানসিকতা থেকেই গত বছর ২০১৬ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ভিপি’র দায়িত্ব পেয়েছিলাম। সবার ভালবাসায় এভাবে সিক্ত থাকতে চাই সারাটা জীবন। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
** ছোটবেলা থেকেই আমি ডাক্তার হতে চাই
** মা শুধু বলতেন ‘পড়তে বসো’
** ** পরিকল্পনা পূরণের জন্য মনোবলই প্রধান