পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেন ও নরওয়ে থেকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে এখন পর্যন্ত এ দুই ইউরোপিয়ান দেশই হয়তো সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোবেল পুরস্কার ঘরে তুলেছে।
এ প্রতিযোগিতায় নরওয়ের অবস্থান আরও পিছনে। মোট ১৩টি নোবেল পুরস্কার জয়ের গৌরব অর্জন করেছে নরওয়ে। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতি ৪ হাজার ৮৪৩ জনের একজন নোবেল লরিয়েট।
জনসংখ্যার অনুপাতে নোবেল বিজয়ীর তালিকায় সুইডেনের অবস্থান চার নম্বরে এবং নরওয়ের অবস্থান সাতে। মজার ব্যাপার হলো, এ তালিকার প্রথম তিনটি দেশই অখ্যাত। তালিকার প্রথমে রয়েছে ফারো আইল্যান্ডস। ডেনমার্ক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত স্বায়ত্তশাসিত এ রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যা ৪৮ হাজার। সেদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ীর নাম নেইলস রেবার্গ ফিনসেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের কারণে ১৯০৩ সালে তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মাত্র একজন নোবেল লরিয়েট হলেও জনসংখ্যার অনুপাত দেখতে গেলে ফারো আইল্যান্ডসই এক নম্বর।
তালিকার দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে সেন্ট লুসিয়া এবং তিন নম্বরে লুক্সেমবার্গ। দু’দেশেই দু’জন করে নোবেল লরিয়েট। যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত ১শ ৩২টি নোবেল পুরস্কার অর্জন করলেও জনসংখ্যার অনুপাতে দেশটির অবস্থান নয় নম্বরে।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোবেল পুরস্কার ঘরে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের মোট ৩শ ৬৭ জন লরিয়েট এ গৌরব অর্জন করেন। পাশের দেশ ভারতে নোবেল লরিয়েটের সংখ্যা দশজন এবং বাংলাদেশে একজন।
নোবেল ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, ১৯০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৯১১ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচিত নোবেল পুরস্কার। মোট ছয়টি বিষয়ের উপর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো হলো- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ