ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বাংলার গণমানুষের নেতা ছিলেন এ কে ফজলুল হক

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
বাংলার গণমানুষের নেতা ছিলেন এ কে ফজলুল হক স্মরণসভায় বক্তব্য রাখছেন আমির হোসেন আমু

ঢাকা: বাংলাদেশের সূচনা ও দেশের বর্তমান উন্নয়নের পেছনে যে সকল মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক তাদের একজন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, জেলা শহরের পৌরসভার মেয়র হবার মধ্য দিয়ে এ কে ফজলুল হক তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটান। পরবর্তীতে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেশ গঠনে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে ফজলুল হকের ১৪৪তম
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্মৃতিচারণা করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন সময়ে আমি একবার বরিশাল গেলাম। রিকশায় কিছু দূর এগোনোর পর দেখলাম
রাস্তায় বেশ ভিড়। আমি রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে এতো ভিড় কেন? রিকশাওয়ালা বললো, আপনার নেতা সোহরাওয়ার্দীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি জানতে চাইলাম, আমার নেতা সোহরাওয়ার্দী হলে তোমার নেতা কে? রিকশাওয়ালা উত্তর দিলো- এ কে ফজলুল হক। এভাবেই তিনি গণমানুষের নেতা হয়েছিলেন। বাংলার কৃষক মজলুমদের কাছে তিনি চিরজীবী।

যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, এক জীবনে যা করা সম্ভব নয়, ফজলুল হক তাই করেছেন। গণমানুষের নেতা হয়েছেন তিনি। ছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অনন্য তার জীবন। তিনি একই সঙ্গে পাকিস্তানের মুসলিম লীগের সভাপতি ও ভারতের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অনন্য ভূমিকা রেখেছেন বাংলার কৃষকদের উন্নয়নে।

বর্তমানে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে ফজলুল হকের মতো গণমানুষের জন্য সবার কাজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিশিষ্ট এ সাংবাদিক।

সভাপতির বক্তব্যে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতা নেওয়ার পর অষ্টাদশ ও ঊনিশ শতক ছিলো কৃষক বিদ্রোহের জন্য বিখ্যাত। এ কে ফজলুল হক এ ইতিহাসের দর্শন গ্রহণ করে তা কাজে লাগিয়েছেন। উপমহাদেশে তিনিই প্রথম, যিনি কোনো ব্যক্তি উদ্যোগে নয় বরং সংগঠনের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন।

সভাপতি বলেন, অনেকে ফজলুল হককে শুধু ৪০টি ফজলি আম, ৩০টি ডিম বা এক হাড়ি গুড় খাবার জন্য চিনে থাকেন। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে তার অনন্য এক জীবন। তিনি শুধু ১৩ জন সদস্য নিয়েই সে সময়ে পাকিস্তানের মন্ত্রী হয়েছেন। আর যুক্তফ্রন্টে যোগদান তার এক অনন্য সিদ্ধান্ত, যা না হলে বাংলার ইতিহাস আজ অন্যরকম হতে পারতো।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব শওকত নবী। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কর্মময় জীবনী তিনি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।