মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থানরত এ গ্রহের ভূগর্ভে বৃহদাকার হিমায়িত সমুদ্র থাকার সম্ভাবনা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন গবেষকরা। ডনের পাঠানো নতুন তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে এখন অনেকটাই নিশ্চিত নাসা।
নাসা জানায়, সেরেসের ভূগর্ভস্থ সমুদ্রগুলো অনেক আগে থেকেই হিমায়িত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ৪০০ কোটি বছর ধরে তা একই রকম রয়েছে এবং এর অবস্থান সেরেসের কেন্দ্র ঘিরে। এ সমুদ্রের মধ্যে ক্ল্যাথারেট হাইড্রেট (clathrate hydrates) ও লবণ বিদ্যমান। ফলে তা সাধারণ বরফ থেকেও অনেক গুণ শক্ত।
এখন প্রশ্ন হলো, এ সমুদ্র কি সেরেসে প্রাণের বিকাশ ঘটাতে পেরেছিল?
নাসার ডন প্রোজেক্টের গবেষক জুলি ক্যাস্টিলো-রোজেজ বলেন, সেরেসে প্রাণের বিকাশ ঘটেছিল কিনা তা বলা খুবই কঠিন। আমরা শুধু এটুকু জানি গ্রহটি এক সময় বাসযোগ্য ছিল। কিন্তু আমরা এটা জানি না ঠিক কখন এর সমুদ্র বরফে পরিণত হয়েছে। সেরেসের বর্তমান পরিবেশ প্রাণের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়।
ক্যাস্টিলো-রোজেজের অনুমান, সেরেসের অতীত ভূ-প্রকৃতি ছিল বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপার মতো। এর ভূ-গর্ভে ছিল বহমান সমুদ্র এবং ভূ-পৃষ্ঠ ছিল শীতল পাথুরে উপাদানে গঠিত।
গ্রহটি নিয়ে আরও গবেষণা সহায়ক তথ্যের আশায় ডনের মিশন আগামী বছর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে নাসা। নাসার মহাকাশযান ডন (Dawn) ২০০৭ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। প্রোটোপ্ল্যানেট ভেস্টার মিশন সম্পন্ন করে ২০১৫ সাল থেকে বামন গ্রহ সেরেসের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে তা।
সেরেস মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থানরত এক বামন গ্রহ। বামন গ্রহ বলতে এমন এক মহাজাগতিক বস্তুকে বোঝানো হয়ে থাকে- যা আসলে গ্রহ না, আবার উপগ্রহও বলা চলে না। তবে সৌরজগতের গ্রহগুলোর মতোই এরা সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরতে থাকে। প্লুটোকে আগে সৌরজগতের নবম গ্রহ বলা হলেও, এখন তা বামন গ্রহের খেতাব পেয়েছে। সৌরজগতের আরেক বামন গ্রহের নাম এরিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২১৭
এনএইচটি/এএ