এর নাম স্মার্ট ট্রেন হওয়ার কারণ, ট্রেনটি চলাচলের জন্য কোনো রেললাইনের প্রয়োজন নেই। কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা ভার্চুয়াল লাইনের মধ্যমে শহরের রাস্তা দিয়ে তা চলাচল করে।
চীনের এ অত্যাধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নাম ‘অটোনোমাস রেল র্যাপিড ট্রানজিট’। সংক্ষেপে এআরটি। ট্রেনটি একসঙ্গে তিনশো যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। শহরের রাস্তায় অন্য যানবাহনের পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্য ট্রেনের কাঠামোটি বিশেষভাবে তৈরি।
ট্রেনটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত। মাত্র ১০ মিনিটের চার্জেই তা চলবে ২৫ কিলোমিটার।
এ ট্রেনের প্রধান প্রকৌশলী ফেং জিয়াংহুয়া বলেন, প্রচলিত মেট্রো ট্রেন বা ট্রামের তুলনায় স্মার্ট ট্রেন নির্মাণের খরচ অনেক কম। রেললাইনের জন্য আলাদা পথ তৈরির দরকার নেই এতে।
ট্রেনটি চলবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। তবে বেসিক কিছু নির্দেশনার জন্য এতে একজন চালক নিযুক্ত থাকবে।
গত জুন মাসে প্রথম স্মার্ট ট্রেন উন্মোচন করে চীন। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রী বহন করছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধেই তা শহরের অন্য স্থানেও যাত্রী বহন শুরু করবে।
চীনের সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেড নির্মিত এ স্মার্ট ট্রেন অচিরেই দেশটির বিভিন্ন শহরে চলাচল শুরু করবে। ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্য দেশেও এ প্রযুক্তি রপ্তানির ব্যাপারে আশাবাদী এর নির্মাতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ