চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (সিএএসসি) উপ-ব্যবস্থাপক শেন হংবো বলেন, মহাকাশযানটি চীনের নিজস্ব জনশক্তি ও প্রযুক্তির তৈরি এবং তা বিপুল পরিমাণ কার্গো বহন করতে সক্ষম।
জানা যায়, মহাকাশযানটিতে স্পেসক্রাফট ও স্পেস শাটল উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান।
শেন হংবো আরও বলেন, এ মহাকাশযানটি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ফ্যালকন-নাইনের চেয়ে ভিন্ন। এর প্রথম দুটি অংশ সমান্তরালভাবে অবস্থান করায় দুটি অংশই আবার ব্যবহারের উপযোগী। কিন্তু ফ্যালকন-নাইনের শুধু প্রথম অংশটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
সংস্থাটি জানায়, মহাকাশযানটি ২০ বারেরও বেশি ব্যবহার করা যাবে। এর প্রথম পর্যায়েই উৎক্ষেপণের খরচ ২০ শতাংশ কমে যাবে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে খরচ আরও ১০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশাবাদী।
চীনের মহাকাশযানটির আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য, এর দু’পাশে পাখা সংযুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং, উড়োজাহাজের মতোই তা সমান্তরালভাবে মাটিতে অবতরণ করতে সক্ষম। রকেট উৎক্ষেপণের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। কিন্তু চীনের মহাকাশযানের ক্ষেত্রে তা একদিনে নেমে আসতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ