আজও পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জনতম স্থান পৃথিবীর দক্ষিণমেরু ঘিরে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা। তবে থেমে থাকেনি মানুষের অনুসন্ধান।
বিদঘুটে সাগর মাকড়শা
মাকড়শা সাধারণত স্থলেই থাকতে দেখা যায়। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার বরফ শীতল সমুদ্রের নিচে দেখা মেলে অদ্ভুত দেখতে বাদামি রঙের এ মাকড়শাগুলো। এগুলো দৈর্ঘ্যে ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। তবে চিংড়ি মাছের মতোই নিরীহ।
হিটলারের গোপন ঘাঁটি
কল্পকাহিনীগুলোতে কখনো কখনো চাঁদে হিটলারের গোপন ঘাঁটির উল্লেখ পাওয়া যায়। চাঁদে হিটলার ঘাঁটি গড়তে না পারলেও অ্যান্টার্কটিকায় নাৎসিবাহিনীর ঘাঁটি খুঁজে পেয়েছেন একদল রাশিয়ান গবেষক। এমন নির্জন ও দুর্গম স্থানে কেন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে, তা জানা যায়নি। কয়েক যুগ ধরে এ ঘাঁটি পরিত্যক্ত থাকার পর গত বছর অক্টোবরে এর সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকরা এখানে বুলেট, সামরিক নথিপত্র ও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী খুঁজে পান।
অজানা মেরু সভ্যতা
কয়েক বছর আগে দক্ষিণ মেরুর খুব কাছে কিছু প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। এ নিদর্শনগুলো ইঙ্গিত করে, এ সভ্যতা হয়তো প্রাচীন পারস্য সভ্যতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। গবেষকরা সেখানে মানুষের মমি করা দেহ খুঁজে পান। এ বিষয়ে গবেষকরা এখনও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
রক্তিম জলপ্রপাত
শুভ্র বরফ ভেদ করে বেরিয়ে আসছে রক্ত লাল জলপ্রপাত। অ্যান্টার্কটিকার এরকম দৃশ্য কিছুটা ভয় পাইয়ে দিতে পারে অভিযাত্রীদের। তবে ভয়ের কিছু নেই। বরফ ভেদ করে বেরিয়ে আসা এ পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের উপস্থিতিতে এর রং লাল হয়।
নতুন প্রজাতির মৌমাছি
প্রায় একশো বছর আগে নরম তুলতুলে এই মৌমাছিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকরা মনে করেন এ প্রজাতিটি বরফ যুগেরও আগে থেকে বিচরণ করছে। এর ডিএনএর গঠনও সাধারণ মৌমাছির তুলনায় আলাদা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ