নতুন এ আবিষ্কারের ফলে বৃহৎ নরবানর গোত্রের প্রজাতির সংখ্যা আরও একটি বাড়লো। বৃহৎ নরবানর গোত্রের পরিচিত তিনটি প্রাণীর নাম শিম্পাঞ্জি, গরিলা ও ওরাং ওটাং।
ওরাং ওটাংয়ের আবার দু’টি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি শনাক্ত করা গিয়েছিল। একটি হলো সুমাত্রীয় ওরাং ওটাং, অপরটি বোর্নিওবাসী ওরাং ওটাং।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে বসবাসকারী ওরাং ওটাংকে বলা হয় সুমাত্রীয় ওরাং ওটাং। এদের দেহে রয়েছে লাল-বাদামি ঘন লোম। তাছাড়া এদের বাহু খুবই লম্বা ও শক্তিশালী। তবে সুমাত্রা এলাকার ওরাং ওটাংগুলো বোর্নিওর ওরাং ওটাংয়ের তুলনায় আকারে ছোট এবং লোম অধিক ঘন।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১৯৯৭ সালে উত্তর সুমাত্রার তাপানুলি প্রদেশের দুর্গম বনাঞ্চলে একদল বিচ্ছিন্ন ওরাং ওটাংয়ের সন্ধান পান। এ ওরাং ওটাংগুলোর গোঁফ অন্যদের তুলনায় বেশি দৃশ্যমান।
২০১৩ সালের এক মৃত ওরাং ওটাংয়ের কংকাল পরীক্ষা করলে এর আরও কিছু বৈচিত্র্য দেখতে পান গবেষকরা। প্রজাতিগত ভিন্নতা নিশ্চিত হলে, এ নতুন প্রজাতিটির নাম দেওয়া হয় তাপানুলি ওরাং ওটাং।
সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব জুরিখের একজন বিশেষজ্ঞ মাইকেল ক্রুজেন বলেন, একুশ শতাব্দীতে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নতুন প্রজাতির ওরাং ওটাং শনাক্তে সাফল্য অর্জন আমাদের দলকে পরিতৃপ্ত করেছে। প্রায় একশ বছর পর বৃহৎ নরবানর গোত্রের নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেলো।
জানা যায়, নতুন আবিষ্কৃত এ ওরাং ওটাং প্রাণিজগৎ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। সুমাত্রার বনাঞ্চলের উত্তর ভাগে বর্তমানে মাত্র আটশ তাপানুলি ওরাং ওটাং জীবিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এনএইচটি/এএ