মঙ্গোলিয়ায় পাওয়া জীবাশ্মটি প্রায় সাত কোটি বছরের পুরনো। আকৃতি ছোটখাটো একটি উড়োজাহাজের সমান।
প্রাণীটি অন্য ডায়নোসরের মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতো। পেছনের দুটি পা এবং ভাঁজ করা দুটি ডানার সাহায্যে ভর করে তা মাটিতে চলাফেরা করতো। মাটিতে বিচরণ করার সময় প্রাণীটির উচ্চতা একটা পূর্ণবয়স্ক জিরাফের সমান।
গবেষকরা জীবাশ্মটি মঙ্গোলিয়ার গবি মরুভূমির উত্তর পশ্চিমের একটি অঞ্চল থেকে আবিষ্কার করেন। ওই একই অঞ্চলে এপর্যন্ত আরও অনেক রকম ডায়নোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেছে।
টের্জাসোররা এক প্রকার উড়ন্ত সরীসৃপ। পৃথিবীতে ডায়নোসরদের পাশাপাশি ছিল এদের বসবাস। গবেষকদের মতে, এরাই পৃথিবীর প্রথম মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা বিবর্তনের ফলে উড়তে শিখেছিল। তাছাড়া, এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উড়তে জানা প্রাণী।
মঙ্গোলিয়ায় পাওয়া জীবাশ্মটির আকৃতি বিস্মিত করেছে গবেষকদের। ইউনিভার্সিটি অব টোকিওর জীবাশ্মবিদ তাকানোবু সুইহিজি বলেন, আমি জীবাশ্মটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিনতে পেরেছি, এটি টের্জাসোর পরিবারের কোন সদস্য। তবে এর বৃহৎ আকৃতি বিস্মিত করেছে আমাদের।
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের জীবাশ্মবিদ মার্ক উইটন জানান, প্রাণীটির মেরুদণ্ডের হাড় প্রস্থে প্রায় আট ইঞ্চি। কিন্তু এর গলার হাড়গুলো উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় প্রাণীটির গলার দৈর্ঘ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এর দেহের আকৃতি ও পাখার আকৃতি পর্যালোচনা করে বলে দেয়া যায়, প্রাণীটি উড়তে পারতো।
মঙ্গোলিয়ার সায়েন্স একাডেমির গবেষকরা জীবাশ্মটি ২০০৬ সালে আবিষ্কার করেন। জীবাশ্মটি গভীরভাবে বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে তারা এর নমুনা ইউনিভার্সিটি অব টোকিওতে পাঠান। এরপর থেকে মঙ্গোলিয়ার ওই অঞ্চলে জীবাশ্মের সন্ধানে গবেষণা কাজ শুরু করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ