প্রজাপতি নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। প্রজাপতি নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো কবিতা, গান।
সাধারণত প্রজাপতিকে পরিবর্তন, আনন্দ, ভালোবাসা এবং রূপান্তরের প্রতীক বিবেচনা করা হয়। প্রজাপতি নিয়ে নানা দেশে নানা বিশ্বাস প্রচলতি আছে। প্রজাপতিকে ভাবা হয় ভালবাসা, পৃথিবীর উর্বরতা ও সৌভাগ্যের প্রতীক।
অনেক দেশে ধারণা করা হয়, মানুষ মারা যাওয়ার পরে স্বর্গে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের আত্মা প্রজাপতি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অবিবাহিত প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরে প্রজাপতি বসলে তার বিয়ের ফুল ফুটলো বলে ধরে নেয়া হয়।
প্রজাপতির সঙ্গে কিছু সময় পার করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতি বছর আয়োজন করে থাকে প্রজাপতি মেলা। তারই ধারাবাহিতায় ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানে অষ্টমবারের মত প্রজাপতি মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া এবারের মেলায় থাকছে দিনব্যাপী নানা আয়োজন।
প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের জন্য), প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, হাট দর্শন (জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন), অরিগামি প্রজাপতি, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারী বিতর্ক (প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তন), প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান রয়েছে সূচিতে।
প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
এ মেলার মাধ্যমে একদিকে যেমন মানুষের মাঝে প্রজাপতি সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তেমনি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে একটি দিন কাটানোর সুযোগ পাচ্ছে। যা তাদের কর্মজীবনের একঘয়েমি কাটাতে সাহায্য করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম