পাথরের শিল্পকর্মটি দৈর্ঘ্যে প্রায় দেড় ইঞ্চি। এতে তিনজন যোদ্ধার সম্মুখ লড়াইয়ের দৃশ্য খোদাই করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা প্রাচীন গ্রিকের সবচেয়ে নিখুঁত শিল্পকর্মগুলোর একটি। এত ক্ষুদ্র ক্যানভাসে এ ধরনের খোদাই ফুটিয়ে তুলতে ম্যাগনেফাইং গ্লাস প্রয়োজন। কিন্তু ম্যাগনেফাইং গ্লাসের প্রচল আরও এক হাজার বছর পর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, পাথরের খোদাইটি ওই আমলের অন্য সব শিল্পকলার কারিগরি দিক থেকে আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত একটি সাময়িকীতে গবেষক জ্যাক ডেভিস উল্লেখ করেন, মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলতে এখানে খুবই সূক্ষ্ম ও জটিল কারুকাজ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি এর কিছু সূক্ষ্ম নকশা শুধু ম্যাগনেফাইং গ্লাসেই দেখা সম্ভব। আমাদের জানা মতে, আরও এক হাজার বছর পরবর্তী ক্লাসিক্যাল গ্রিসে এ ধরনের কারুকাজ দেখতে পাওয়া যায়।
পাথরচিত্রটিতে দেখা যায়, তিনজন গ্রিক যোদ্ধা একে অপরের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ে লিপ্ত। এদের একজন আহত অথবা মৃত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে আছে। আরেকজনকে দেখা যায় প্রতিপক্ষের গলা বরাবর ধারালো তলোয়ার ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ শেরি স্টকার বলেন, পাথরটি সম্ভবত ওই আমলে যুদ্ধে জয়ী বীর সেনাদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হতো। যে সমাধিতে আমরা পাথরটি খুঁজে পেয়েছি, সেটি সম্ভবত এরকমই কোনো বীর সেনার।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা সমাধিতে পাওয়া গ্রিক বীর সেনার দেহাবশেষ পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩০ বছর।
গ্রিসের দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন পাইলোস শহরের কাছে এই গ্রিক বীরের সমাধি ও পাথরের শিল্পকর্মটি খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সমাধিতে আরও অনেক মূল্যবান ধনদৌলত ও শিল্পকর্ম পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ