হাঙরের এ প্রজাতিটি প্রায় আট কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বসবাস শুরু করে। গবেষকরা জানান, প্রজাতিটির নাম ফ্রিল্ড হাঙর।
ভয়ংকর চেহারার হাঙরটি দেখলে মনে হবে যেন ভিনগ্রহের কোনো এক প্রাণী। এখন পর্যন্ত প্রাণীটি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জানেন গবেষকরা। এর কালো রঙের দেহটি সাপের মতো সরু ও লম্বা। এর চোয়ালে দাঁতের সংখ্যা ৩শ।
উপকূলের বাণিজ্যিক মৎস্য শিকার সংক্রান্ত এক প্রোজেক্টে কাজ করার সময় একদল গবেষক ফ্রিল্ড হাঙরটির সন্ধান পান। সাতশো মিটার গভীর সমুদ্র থেকে হাঙরটি ধরেন তারা। জানা যায়, হাঙরটি পুরুষ এবং এর দৈর্ঘ্য দেড় মিটার।
গবেষকদলের একজন মারগারিডা ক্যাস্ট্রো বলেন, ফ্রিল্ড হাঙর সমুদ্রের অনেক গভীরে বসবাস করে। এ কারণেই হয়তো এরা এতদিন লোক-চক্ষুর আড়ালে রয়ে গিয়েছিল। বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দাঁতের সাহায্যে এরা গভীর সাগরের স্কুইড ও মাছ শিকার করে খায়।
এর আগেও একবার ফ্রিল্ড হাঙরের দেখা মেলে। গত বছর রোমান ফেডোর্স্টোভ নামক একজন রাশিয়ান জেলে একটি ফ্রিল্ড হাঙর ধরেছিলেন। তিনি হাঙরটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে তা বেশ আলোড়ন ফেলেছিল ওই সময়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এনএইচটি/এএ