চারিদিকে সবুজের চাদরে মোড়ানো অথৈ জলে নিজেই চালাবেন নৌকা- এমন অ্যাডভেঞ্চার নিশ্চয়ই কেউ মিস করতে চাইবেন না। আর সে কারণেই মহামায়া কায়াকিং পয়েন্টে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়।
মহামায়া কায়াকিং পয়েন্টের পরিচালক মামুনুর রশিদ রানা বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশে কাপ্তাইয়ের পরে এখানেই আছে কয়েকটি কায়াকিং নৌকা। আর কোথাও এমন অ্যাডভেঞ্চার নেওয়ার সুযোগ নেই যাত্রীদের। তিনি জানান, মহামায়ার কায়াকিংগুলো উন্নত ও নিরাপদ। এগুলো আমদানি করা হয়েছে ব্রাজিল থেকে।
মামুনুর রশিদ রানা বলেন, প্রতিটি কায়াকিং নৌকা প্রতি ঘণ্টায় ৩’শ টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দেওয়া হয় ১’শ টাকা। রয়েছে নির্ধারিত সীমানা রেখা। এর বাইরে গেলে পর্যটকদের গুনতে হয় ১ হাজার টাকা জরিমানা।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মহামায় লেকে গিয়ে কথা হয় দর্শনার্থী এজি রবিন, জিকু, জিসান, সৌরভ ও আফজালের সঙ্গে। তারা জানান, নিজ হাতে নৌকা চালিয়ে পাহাড় আর সুবজের নীলাভ জলের বুক চিরে ইচ্ছেমতো ঘুরতে দারুন লাগে।
রবিন জানান, কায়াকিং পয়েন্টের লোকরাই শিখিয়ে দেয় কিভাবে কায়াকিং করতে হয়। যার কারণে চালাতে তেমন বেগ পেতে হয় না। বিষয়টাতে দারুন অ্যাডভেঞ্চার রয়েছে।
কায়াকিং পয়েন্টের পরিচালক মামুনুর রশিদ রানা জানান, তিনিসহ শামীম হোসেন, সাইদুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন শামীম ও স্নেহাশীষ জনি মিলে এ লেকে ১৬ টি কায়েক নামিয়েছেন। ধীরে ধীরে দর্শনার্থীরা আগ্রহী হয়ে উঠছে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক লোক কায়াকিং করছে।
মহামায়া লেক
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ মহামায়া লেক। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ লেকটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘি বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
পাহাড়ের কোলঘেঁষে আঁকাবাঁকা লেকটি অপরূপ সুন্দর। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত মহামায়া লেকের অন্যতম আকর্ষণ পাহাড়ি ঝরনা। স্বচ্ছ পানির জলাধারের চার পাশ সবুজ চাদরে মোড়া। পিকনিকের জন্যও মহামায়া দারুণ একটা জায়গা। এখানে এসে রান্নাবান্না করে খাওয়াসহ রয়েছে সারাদিন কাটানোর সুযোগ।
যাওয়ার পথ
ঢাকা-চট্টগ্রামের যেকেনো বাসে করে সরাসরি নামতে হবে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে। সেখান থেকে সিএনজি চালিতে অটো রিকশা কিংবা হিউম্যান হলারে করে আসতে পারবেন লেকে। অটোরিকশায় ভাড়া পড়বে একশো টাকা। এছাড়া লোকাল চলাচলরত হিউম্যান হলারে চড়ে যেতে পারেনে। ভাড়া পড়বে ১০ টাকা।
থাকা-খাওয়া
লেকে ঘুরতে এসে দিন শেষে ফিরে গেলেই ভালো। কারণ মিরসরাইতে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও থাকার তেমন ভালো থাকার ব্যবস্থা নেই। থাকতে হবে চট্টগ্রাম অথবা পাশের জেলা শহর ফেনীতে। এ দুই শহরেই রয়েছে থাকার মত ভালো হোটেল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএইচডি/বিএস