ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

নতুন প্রজাতির দু’পেয়ে ডায়নোসরের ফসিল অস্ট্রেলিয়ায়

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
নতুন প্রজাতির দু’পেয়ে ডায়নোসরের ফসিল অস্ট্রেলিয়ায় ডিলুভিকারসার। ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: প্রায় ১১ কোটি বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরে বেড়াতো অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের এক প্রজাতির ডায়নোসর। দু’পায়ে ভর দিয়ে বেশ দ্রুত বেগে দৌড়াতে পারতো তারা। এদের আকৃতি ছিল একটা পূর্ণবয়স্ক টার্কি পাখির সমান। তখন অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা ছিল একই ভূখণ্ড।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জীবাশ্মবিদরা এ প্রজাতির ডায়নোসরের ফসিল আবিষ্কার করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, তৃণভোজী এ ডায়নোসর প্রজাতি ক্রেটাসিয়াস যুগে এ অঞ্চলে বসবাস করতো।

এখন থেকে প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে থেকে শুরু করে ৬ কোটি বছর আগের সময়কালটাকে বলা হয় ক্রেটাসিয়াস যুগ। এসময় অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড অ্যান্টার্কটিকার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির জীবাশ্মবিদ ম্যাথিউ হার্ন জানান, এ ডায়নোসর প্রজাতিটির নাম ডিলুভিকারসার। অস্ট্রেলিয়ায় ডায়নোসরের ফসিল পাওয়া খুবই বিরল ঘটনা। এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলের মাত্র ১৯ প্রজাতির ডায়নোসোর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গবেষকরা। এ তালিকায় ডিলুভিকারসার সর্বশেষ সংযোজন।  

ফসিলগুলো পাওয়া যায় ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দক্ষিণ উপকূলের কাছে, রাজ্যের রাজধানী মেলবর্ন থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে। গবেষকরদের ধারণা, কোনো শক্তিশালী বন্যায় নদীর স্রোতের সঙ্গে তারা এ স্থানে ভেসে এসেছে।  

দৈর্ঘ্যে এরা প্রায় সাত ফুটেরও বেশি। দেহের আকৃতি একটা টার্কি পাখির সমান হলেও লেজের কারণে এদের দৈর্ঘ্যটা টার্কির থেকেও অনেক বেশি।  

এ অঞ্চলে ডিলুভিকারসারদের সঙ্গে আরও বসবাস করতো ২০ ফুট লম্বা হিংস্র ডায়নোসর, বড় আকৃতির কচ্ছপ ও উড়ন্ত সরীসৃপ। এরা সংযুক্ত অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকার বিস্তীর্ণ প্লাবনভূমির উপর সৃষ্টি হওয়া বনাঞ্চলে বসবাস করতো। প্রায় সাড়ে চার কোটি বছর আগে পর্যন্ত এ দু’টি মহাদেশ একই ভুখণ্ডে টিকে ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।