তাঁতিপল্লি ঘুরে দেখা যায়, চার হাজার শ্রমিকের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫শ’ শিশুও।
শিশুশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অন্য কাজের সুযোগ না পাওয়ায় শুধু জীবন-জীবিকার তাগিদে এ কারখানায় কাজ করছে। কিন্তু অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কাজ করলেও তাদের বেতন অর্ধেক।
এখানে কর্মরত শিশু শ্রমিক সোহেলের (১২) সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। সে বাংলানিউজকে জানায়, আমার মতো এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা এ বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা। হাতে বই কলম থাকার কথা কিন্তু গরিব হয়ে জন্ম নিয়েছি বলে কাজ করে খেতে হচ্ছে আমার মতো শিশুদের। আলামিন (১৫) বাবার সঙ্গে থেকে দেখে দেখে জামদানি শাড়ি তৈরির করতে শিখে গেছে। আলামিনের বয়স ৯ বছর। প্রথমে সে সুতা ভাঁজ করতো। এখন আলামিন শাড়ি তৈরিতে পুরোপুরি পারদর্শী। আলামিন বাংলানিউজকে বলে, ‘আমাদের অভাবের সংসার। তাই জামদানি কারখানায় কাজ করি। কাজ করে যা টাকা পাই তাই সংসার দেই। টানাপোড়েন আমাদের এই পল্লীর মানুষের মধ্যে লেগেই থাকে। তবুও খেয়ে বেঁচে আছি। ’আবদুল মান্নানের বয়স ৫৪ বছর। ২৭ বছর ধরে তিনি এই তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাড়ি টাঙ্গাইলে হলেও তিনি এখানকার একটি ছোট কারখানার মালিক। তার কারখানায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ১০ শ্রমিক কাজ করেন। আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, তার কারখানায় কোনো শিশু শ্রমিক নেই। তবে চারজন নারী ও ছয়জন পুরুষ শ্রমিক নিয়ে তার কারখানা চলে।
জামদানি বুনন অনেক পরিশ্রম ও সময়সাপেক্ষ। তাই দামও বেশি। দাম বেশির কারণে তেমন চাহিদা নেই। তাই অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিয়ে মেশিন চালিত কারখানার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান মান্নান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এএটি