ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সাংবাদিক-সাহিত্যিক ফয়েজ আহমেদের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
সাংবাদিক-সাহিত্যিক ফয়েজ আহমেদের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার। ৮ ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা

১৮১১ - অস্ট্রিয়া নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে।

১৮৬৮ - বাংলা সাপ্তাহিক হিসেবে অমৃতবাজার পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৭৬ - সিয়াটো বা সাউথ এশিয়া ট্রিটি অরগানাইজেশন ভেঙে দেওয়া হয়।

১৯৭৬ -একুশে পদক প্রবর্তন।

১৯৮৬ - ইংলিশ চ্যানেলের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগের পরিকল্পনা ঘোষণা।

জন্ম

১৯০১ - মোহাম্মদ নগীব, মিশরের বিপ্লবী নেতা এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট।

১৯৫১ - গর্ডন ব্রাউন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

১৯৮৬ - নুসরাত ইমরোজ তিশা, বাংলাদেশের অভিনেত্রী।

মৃত্যু

১৭০৭ - সম্রাট আওরঙ্গজেব।

১৯৫০ -শরৎচন্দ্র বসু, ‘অখণ্ড স্বাধীন বাংলা’ আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ও নেতাজী সুভাষ বসুর অগ্রজ।

১৯৮৬ - ডা. নীহারঞ্জন গুপ্ত, সাহিত্যিক ও চিকিৎসক।

২০১২ - ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা জেলার বাসাইলভোগ গ্রামে (বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের অন্তর্গত) এক সামন্ত পরিবারে ১৯২৮ সালের ২ মে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে পলায়নমুখী পশ্চাদগামী ব্রিটিশ সৈন্যরা যখন বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় ক্যাম্প স্থাপন করেছিল, তখন বনানীর একটি ক্যাম্পে তরুণ প্রকৌশলী তথা পাইলট হিসেবে শিক্ষানবিসের কাজ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত মুক্ত চিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল লেখকদের সংগঠন পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের প্রথম সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পিকিং রেডিওতে বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক। তিনি বাংলা ভাষার শিশুতোষ সাহিত্যিক হিসাবে খ্যাতিমান। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। তিনি বাংলাদেশের তাবৎ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।