জাপানের শীর্ষস্থানীয় টিম্বার কোম্পানি সুমিতো ফরেস্ট্রির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠানটির ৩৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষেই নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন।
ভবনটির নাম রাখা হবে ‘ডব্লিউ-৩৫০’। ৭০ তলা এ ভবনটির ১০ শতাংশের নির্মাণকাজে ইস্পাত ব্যবহার দ্বারা। বাকি অংশে ব্যবহৃত হবে ১ লাখ ৮০ হাজার কিউবিক মিটারের জাপানি কাঠ।
ভবনটিতে প্রায় ৮ হাজার কক্ষ থাকবে। প্রতি তলার ব্যালকনি সাজানো থাকবে গাছপালায়।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ কাঠের ভবনটি কানাডার একটি ছাত্রাবাস। ১৮ তলার এ ভবনটিরও চারগুণ বেশি উঁচু হতে চলেছে ‘ডব্লিউ-৩৫০’।
‘ডব্লিউ-৩৫০’ নির্মাণের প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে ৬’শ বিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা)।
তবে নির্মাতারা জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে এ ভবন নির্মাণের খরচ বেশ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, কাঠের ভবনটি হবে একইসঙ্গে দৃষ্টিনন্দন এবং পরিবেশ বান্ধব। বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের ১৩ শতাংশের জন্যই দায়ী কংক্রিট এবং ইস্পাতের ভবন। তাছাড়া কাঠ প্রকৃতিতে কার্বন নির্গমনে বাধা দেয়।
তবে কাঠের ভবনের জন্য একটি বড় হুমকি হলো আগুন। ‘ডব্লিউ-৩৫০’কে আগুন প্রতিরোধী করতে নির্মাতারা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া সাধারণ ভবন নির্মাণের তুলনায় কাঠের ভবন নির্মাণে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এনএইচটি