বন্য ঘোড়ার বিলুপ্তি সংক্রান্ত এ তথ্য রীতিমতো বিস্ময়কর। কারণ, এখনও অল্প সংখ্যক বন্য ঘোড়াকে প্রকৃতিতে বিচরণ করতে দেখা যায়।
ঘোড়ার বংশধারার উপর গবেষণাটি মূলত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা উত্তর কাজাখস্তানের দু’টি অঞ্চলে অনুসন্ধান চালিয়ে পোষ্য ঘোড়ার সবচেয়ে প্রাচীন আলামত সংগ্রহ করেন। গবেষকরা জানতে পারেন এসব অঞ্চলে পাঁচ হাজার বছরেরও আগে মানুষ ঘোড়াকে পোষ মানিয়েছিল।
খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে প্রাচীন ঘোড়ার দাঁত ও হাড় থেকে জিনোম সংগ্রহ করেন। এগুলোর সঙ্গে এপর্যন্ত পাওয়া ১৮ প্রজাতির প্রাচীন ঘোড়া ও ২৮ প্রজাতির আধুনিক ঘোড়ার জিনোমের তুলনা ও বিশ্লেষণ করা হয়। জীববিজ্ঞানে কোনো জীবের জিনোম বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা সেটির ডিএনএ’তে সংকেত আকারে সংরক্ষিত থাকে।
জিনোম বিশ্লেষণের ফলাফলে দেখা যায়, বর্তমান যুগের জুয়ালস্কিস হর্স এসেছে কাজাখস্তানের বোটাই অঞ্চলে পাওয়া প্রাচীন ঘোড়ার বংশধারা থেকে, যা ৫৫০০ বছর আগে মানুষের পোষ মেনেছিল।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের গবেষক স্যান্ড্রা ওলসেন বলেন, তথ্যটা অনেক বিস্ময়কর। পৃথিবীতে আর একটিও বন্যঘোড়া অবশিষ্ট নেই।
জুয়ালস্কিস হর্সের রং লালচে-বাদামি। এদের পা অন্য ঘোড়াদের তুলনায় খাটো। মধ্য এশিয়া, চীন এবং ইউরোপের কিছু অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই এরা বিচরণ করে আসছিল। এদেরই মনে করা হতো পৃথিবীর একমাত্র বন্য ঘোড়া।
১৯৬০ সালে এরা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। তবে বিশেষ প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে এদের সংখ্যা আবার বাড়ানো হয়। বর্তমানে এরা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ