তবে আশ্চর্যজনকভাবে কেশর গজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা চিড়িয়াখানার ‘ব্রিজেট’ নামে এক সিংহীর ঘাড়ে।
চিড়িয়াখান কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের (২০১৭ সাল) মার্চ থেকে ঘন লোম জন্মানো শুরু হয় ১৮ বছর বয়সী ব্রিজেটের ঘাড়ে।
পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের ফলে ব্রিটেজেটের ঘাড়ে কেশর জন্মাতে পারে- এমনটা সন্দেহ পোষণ করেন চিড়িয়াখানার চিকিৎসকরা। এসব গ্রন্থি দেহের টেস্টেরন ও বিভিন্ন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া জেনেটিক কারণেও এমনটা হতে পারে।
ব্রিজেটের কেশর রহস্য উদঘাটন করতে চিকিৎসকরা তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এ নমুনার সঙ্গে ব্রিজেটের বোন টিয়ার রক্তের নমুনার তুলনা করা হবে। টিয়াও ১৮ বছর বয়সী সিংহী, কিন্তু ব্রিজেটের মতো তার ঘাড়ে কেশর জন্মায়নি।
ওই চিড়িয়াখানার একজন প্রাণী চিকিৎসক গ্রিচেন কোল বলেন, যে হরমোনগুলো সিংহের ঘাড়ে কেশর জন্মানোর জন্য দায়ী, একই হরমোনের প্রভাবে সিংহীর ঘাড়েও কেশর জন্মাতে পারে। তবে সিংহীদের ক্ষেত্রে গায়ে অতিরিক্ত লোম বা কেশর জন্মানোর বিষয়টি খুবই বিরল।
ব্রিজেটের ঘাড়ে কেশর জন্মানোর ঘটনাটি বিরল হলেও তা প্রথম নয়। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় চিড়িয়াখানার একটি ১৩ বছর বয়সী সিংহীর ঘাড়ে জন্মেছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ডিম্বাশয়ের সমস্যাজনিত কারণে সিংহীটির দেহে অতিরিক্ত টেস্টেরন উৎপাদন হওয়ায় এমনটা ঘটেছিল।
তাছাড়া, ২০১৪ সালে বোতসোয়ানার একটি চিড়িয়াখানায় বসবাসরত পাঁচটি সিংহীর ঘাড়ে দেখা গিয়েছিল কেশর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ