বাদেশি ভাষা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতো পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পর্বতাঞ্চলে। কিন্তু বর্তমানে ভাষাটি বিলুপ্তির পথে।
নিজের বয়সের সঠিক হিসাব জানা না থাকলেও দেখলে মনে হবে রহিম গুলের বয়স ৭০-এর কম না। তিনি বলেন, মাত্র এক প্রজন্ম আগেও তাদের গ্রামের প্রায় সবাই বাদেশি ভাষায় কথা বলতো। কিন্তু বিবাহসূত্রে আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক নারী তাদের গ্রামে চলে আসে, যাদের ভাষা তরওয়ালি। আর এদের সন্তানরা মায়ের ভাষাটাই মুখে রপ্ত করতে থাকে। ফলে বাদেশি ভাষা বিলুপ্ত হতে থাকে।
বর্তমানে পশতু ভাষার আগ্রাসনে তরওয়ালি ভাষাই চাপের মুখে, ফলে বাদেশি চলে যায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
রহিম গুল বলেন, এখন আমাদের সন্তানেরা তওয়ালি ভাষায় কথা বলে। তাই আমাদের নিজেদের ভাষায় কথা চালাচালির কোনো লোক খুঁজে পাওয়া যায় না।
নিজের বয়সের হিসাবটা ভুলতে বসেছেন বৃদ্ধ সাইদ গুলও। তিনি জানান, এ গ্রামে তেমন কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। কাজের জন্য গ্রামের লোতেরা সোয়াট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে। আর এজন্য তাদের কথা বলতে হয় পশতুতে।
ভাষাতত্ত্ববিদ সাগার জামান জানান, এ নিয়ে তিনি তিনবার ওই এলাকায় গিয়েছেন। কিন্তু এ ভাষায় কথা বলতে জানা আর কোনো মানুষ খুঁজে পাননি তিনি। এ ভাষার কিছু কিছু শব্দ ইঙ্গিত করে, ইন্দো-আর্য ভাষাগুলোরই কোনো উপভাষা থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ