একটি ফুটবল মাঠের চেয়ে বড় লম্বা পাখা (১১৭ মিটার) বিশিষ্ট প্লেনটির নাম স্ট্র্যাটোলাঞ্চ। প্লেনটির মূল কাঠামো দু’টি।
স্ট্র্যাটোলাঞ্চের ট্যাক্সি টেস্টিং সম্পন্ন হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ‘মোজেভ এয়ার অ্যান্ড স্পেস পোর্টে’র রানওয়েতে। দীর্ঘ রানওয়েতে ৪০ নট (৭৪ কিমি/ঘণ্টা) গতিবেগে ছোটানো হয় প্লেনটি। এটি ছিল এর দ্বিতীয় ট্যাক্সি টেস্টিং। ২০১৭’র ডিসেম্বরে প্রথম ট্যাক্সি টেস্টিংয়ে ২৫ নট (৪৫ কিমি/ঘণ্টা) গতিবেগে ছোটানো হয়েছিল অদ্ভুত আকৃতির এই স্ট্র্যাটোলাঞ্চকে।
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের দূরদর্শিতার ফলাফল এ প্লেনটি। তিনি চেয়েছিলেন বিভিন্ন মালামাল বর্তমান প্রযুক্তির চাইতেও আরও সহজ উপায়ে এবং কম খরচে মহাকাশে পাঠানোর উপায় তৈরি করতে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হলে স্ট্র্যাটোলাঞ্চকে দিয়ে তা সম্ভব হবে।
প্লেনটিকে আকাশে ওড়ানোর সময় তিন সদস্য বিশিষ্ট দল এর ডান পাশের ককপিটে বসবেন। এ দলে থাকবেন একজন পাইলট, একজন কো-পাইলট ও একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার। এর বাম পাশের কাঠামোটিতে ককপিট সদৃশ জানালা থাকলেও তা ফাঁকাই থাকবে।
কোনো কার্গো ছাড়াই প্লেনটির ওজন প্রায় ২ দশমিক ২ লাখ কেজি। আর তা বহন করতে পারবে ৫ দশমিক ৮ লাখ কেজির কার্গো। ২৮ চাকা বিশিষ্ট প্লেনটি ব্যবহার করবে বোয়িং ৭৪৭ এয়ারক্রাফটের জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জিন।
নির্মাতারা জানান, মহাকাশে রকেট পাঠাতে বিপুল পরিমাণে জ্বালানি খরচ হয়। এ জ্বালানি খরচটা অনেক কমিয়ে আনতে পারবে স্ট্র্যাটোলাঞ্চ।
স্ট্র্যাটোলাঞ্চ প্রোজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জর্জ বাগ একটি বিবৃতিতে বলেন, আজ আমাদের দল সফলতার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। প্লেনটির স্টেয়ারিং গিয়ার, ব্রেক সিস্টেম ও দিক নির্দেশনামূলক ফাংশনগুলো সফলভাবে কাজ করেছে।
এ দৈত্যাকার প্লেনটির নির্মাতা পল অ্যালেনের মহাকাশ সংস্থা ‘স্ট্র্যাটোলাঞ্চ সিস্টেম’। আর তা মহাকাশযাত্রাকে বাণিজ্যিক রূপ দানের লক্ষ্যে কাজ করা এলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’ ও জেফ বেজোসের ‘ব্লু অরিজিন’কে প্রতিযোগিতায় টপকে যাওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রাখে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ