শব্দের মাধ্যমে দিক নির্ণয়ের পদ্ধতিকে বলা হয় ইকোলোকেশন। এ পদ্ধতিতে বাদুড় তাদের মুখ ও নাক দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে।
গবেষকরা বলছেন, বাদুড়ের মতোই ইকোলোকেশন ব্যবহার করতে জানেন কিছু মানুষও। গবেষণার ফলাফলটি প্রকাশ করে ‘দ্য রয়্যাল সোসাইটি’ জার্নাল। আর গবেষণাটি পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্যের ডারহাম ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট লোর থালের।
জানা যায়, ইকোলোকেশনের মাধ্যমে দিক নির্ণয়ের জন্য মুখ দিয়ে অনবরত উচ্চমাত্রার শব্দ উৎপন্ন করতে হয় মানুষকে।
যুক্তরাজ্যের ড্যানিয়েল ক্রেইগ একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং একইসঙ্গে তিনি একজন ইকোলোকেশন বিশেষজ্ঞ। অন্য দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ইকোলোকেশন আয়ত্তের প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
ড্যানিয়েল বলেন, ইকোলোকেশনের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শব্দ উৎপাদন করি। আমি জিহ্বাকে তালুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটিয়ে একধরনের শব্দ তৈরি করি। এতে খুব তীক্ষ্ম শব্দ উৎপন্ন হয়। এর তরঙ্গ কোলাহলের ভিতর দিয়েও যাতায়াত করতে পারে এবং শত মিটার দূর থেকেও আমার কাছে তথ্য বহন করে আনে।
গবেষকরা বলেন, ইকোলোকেশনের মাধম্যে আশপাশের বিভিন্ন বস্তুর আকৃতি, দূরত্ব, এমনকি বস্তুটা যে উপাদানে তৈরি সেটাও বোঝা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এনএইচটি/এএ