উৎসবে চিত্রকররা মডেলদের শরীরে পেইন্টিং করেন। শরীরে তুলে আনেন নানা বিষয়।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী চিত্রকরদের বিভিন্ন রকম পুরস্কারও দেওয়া হয়। পুরস্কারের ১২টি ভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন- এয়ারব্রাশিং, স্পেশাল ইফেক্ট, ফেস পেইন্টিং প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে সেরা চিত্রকর নির্বাচন করা হয় এ উৎসবে।
বডি পেইন্টিং উৎসবের কিছু ক্যাটাগরিতে চিত্রকররা একদিনের বেশি সময় নেন। তারা প্রত্যেকদিন আলাদা থিমে শরীরে পেইন্টিং করেন।
বডি পেইন্টিং উৎসবের ফেস পেইন্টিং ক্যাটাগরিতে চিত্রকররা মুখে পেইন্টিং করে বিভিন্ন গল্প ফুটিয়ে তোলেন। মডেলের মুখ, নাক ও ঘাড়ে আঁকেন নানা দৃশ্যকল্প।
উৎসবে সৃজনশীল ‘মেক-আপ’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় কস্টিউমস ও মেক-আপের ওপর ভিত্তি করে।
উৎসবে শুধু বডি পেইন্টিং প্রতিযোগিতাই হয় না, পেইন্টিংয়ের বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। যেমন- বডি পেইন্টিং, মেক-আপ, ফটোগ্রাফি, স্পেশাল ইফেক্ট, এয়ারব্রাশ ইত্যাদি।
অস্ট্রিয়ার ক্লাগেনফুর্ট শহরে এ বছর বসেছিল বিশ্ব বডি পেইন্টিং উৎসবের ২১তম আসর। ১৯৯৮ সাল থেকে উৎসবটির আয়োজন করা হয়। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের চিত্রকররা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তারা উৎসবে নিজেদের পেইন্টিং দিয়ে প্রতিযোগিতাও করেন। উৎসবটি এতদিন অস্ট্রিয়ার পোর্টসচার্চ শহরে অনুষ্ঠিত হতো। ২০১৭ সাল থেকে উৎসবটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ ক্যারিনথিয়ার রাজধানী ক্লাগেনফুর্টে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পর্বতবেষ্টিত ক্লাগেনফুর্ট শহরটির দৃশ্যও বেশ মনোরম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এএইচ/আরআর